পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰয়াগের কুস্তমেলায়। । ৩২৩ - কুম্ভমেলা সাধুদিগের একটী কংগ্রেস। ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাধুগণ প্ৰত্যেক তৃতীয় বৎসর হরিদ্বার, প্ৰয়াগ, পঞ্চবটী, উজয়িনী ইহার এক একটী স্থানে একত্র হইয়া পরস্পরের সহায়তার জন্য একমাসকাল ধৰ্ম্মলাপে যাপনু করেন। উক্ত স্থান কয়েকটীর প্রত্যেক স্থানে দ্বাদশ বৎসর অন্তর কুম্ভমেলা হয় । কুম্ভরাশিতে হয়। এজন্য কুম্ভমেলা নাম হইয়াছে। এই মেলার কেহ উদ্যোগকৰ্ত্তা কিম্বা নিমন্ত্রণকৰ্ত্তা না থাকিলেও বহুকাল হইতে ইহা এই ভাবে চলিয়া আসিতেছে । এ বৎসর প্রয়াগের কুম্ভমেলায় অসংখ্য লোকসমাগম হইয়াছিল ; যতদূর দৃষ্টি যায়। কেবলই জনপ্রবাহ নয়নগোচর হইয়াছিল। ক্রয় বিক্রয়, আমোদ, প্ৰমোদ, অথবা পার্থিব কোনরূপ লাভোদ্দেশ্যে এই মেলা হয় না, সাধুদৰ্শনজনিত পুণ্যফল সঞ্চয়ই ইহার উদ্দেশ্য। উৎসাহ, উদ্যম, অনুরাগ, নিষ্ঠা, দান, সদাব্রত, বৈরাগ্য মেলার শোভাবৰ্দ্ধন করিয়াছিল। অযুত অযুত সাধু সন্ন্যাসী কেহ কুটীরে, কেহ বস্ত্রাবাসে, কেহ ছত্রাবাসে, কেহ বা সম্পূর্ণ অনারত স্থানে বসিয়া আছেন। কেহ, গৈরিকধারী, কেহ কৌপিন বহিৰ্ব্বাসধারী, কেহ বা শুদ্ধ কৌপিনধারী ; কাহারও গাত্রে কিঞ্চিৎ আচ্ছাদন আছে, কেহ বা শুদ্ধ বিভূতিভূষিত দীর্ঘজটাধারী। এই সাধুদলে মহাপণ্ডিত আছেন ; মহাধ্যানী, মহাকৰ্ম্মী, মহাপ্রেমিক, মহাদাতা সকল প্রকার লোক আছেন। অসংখ্য গৃহস্থ নরনারী মেলায় সাধুদৰ্শন আশায় আসিতেছেন, সাধুদিগকে প্ৰণাম করিয়া অশ্রুসিক্ত নয়নে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিতেছেন । * গোস্বামী মহাশয় প্ৰয়াগের কুম্ভমেলায় বৈষ্ণব সাধুমণ্ডলীর মধ্যে আসন সংস্থাপন করিয়াছিলেন। তিনি বহু পূৰ্ব্ব হইতেই বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্ৰতি অনুরক্ত ছিলেন । যে অদ্বৈতবংশে তাহার জন্ম, সেই বংশের rrahulumah ra mysluhurup ingra

  • “কুম্ভমেলা” হইতে সংগৃহীত ।