পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షికి মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । প্রভাব তঁহাতে সৰ্ব্বদা জাগ্ৰত ছিল । ভক্তি সেই বংশের প্রধান ভাব । এই ভক্তির প্রভাবই তেঁাহার ব্ৰাহ্মসমাজে কীৰ্ত্তন প্ৰবৰ্ত্তনের কারণ আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের নিকট ভক্তিসাধন গ্ৰহণ ও অবশেষে যোগমাৰ্গাবলম্বন এ সমস্তও ভক্তিমত্তারই পরিচায়ক। প্রয়াগের কুম্ভমেলায় বৈষ্ণবমণ্ডলীতে স্থানগ্ৰহণ র্তাহার পূর্বভাবেরই পরিণতি। কিন্তু এইরূপ বৈষ্ণবভাব প্রধান হইয়াও তিনি সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। কুম্ভমেলাতে এই অসাম্প্রদায়িক ভাব রক্ষিত হওয়াতে তৎপ্ৰতি সকল শ্রেণীর সাধুর গভীর শ্রদ্ধা জন্মিয়াছিল। র্তাহার মেলাস্থ আশ্রমের ব্যবহারের জন্য এলাহাবাদের সুপ্ৰসিদ্ধ শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্ৰ মিত্র একটি সুবৃহৎ বস্ত্ৰাবাস ( তাবু) দিয়াছিলেন । উহা সৰ্ব্বদা লোকে পরিপূর্ণ থাকিত। আশ্রমস্বারে “হরেণাম হরেণাম হরেণামৈব কেবলম, কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা৷” এই শ্লোক লিখিত থাকায় নামমাহাত্ম্য প্রচারই যে এই আশ্রমবাসী সাধুর মূলমন্ত্র তাহ প্রচারিত হইয়াছিল। তঁহার আশ্রমে প্রতিদিন কীৰ্ত্তন হইত । আহার সম্বন্ধে এইরূপ নিয়ম ছিল যে আহারের সময় যাহারা আসিয়া বসিবে তাহারাই অন্ন পাইবে । আশ্রমের জন্য দৈনিক যাহা আসিত এইরূপে সমস্তই ব্যয় হইয়া যাইত ; পরের দিন জুটিলে আবার আয়োজন হইত। তিনি নিজের জন্য কখনও যান্ত্রিীড়া করিতেন না, কিন্তু তঁহার সঙ্গে প্ৰায় শতাধিক শিষ্য অবস্থান করিতেছিলেন। অথচ আশ্চৰ্য্যরূপে সমস্ত ব্যয় নির্বাহ হইয়া যাইত । তিনি সম্পূর্ণরূপে ভগবানের উপর নির্ভর করিয়া আকাশবৃত্তি অবলম্বন পূর্বক বাস করিতেন, আর বলিতেন ——“মানুষের মুখের দিকে কখনও চাহিবে না, ভগবানের দিকে চাহিয়া পড়িয়া থাকিবে, তিনি যদি খাইতে না দিয়া মারিয়া ফেলেন তথাপি অপর কাহারও দিকে