পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা "বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামঞ্জ। উস্কা বহুত প্রেম হ্যায়।” মেলার প্রধান প্ৰধান মহাত্মা গণ--- যাহাদের সঙ্গে তাহার একবার দেখা হইয়াছিল তাহারা-সকলেই তাহার প্রতি একান্ত অনুরাগ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । এক দিন দেখা না হওয়াতে বড়কাটিয়া বাবা বুলিয়া পঠাইয়াছিলেন – “হাম উনকো দরশনক ভুখা হ্যায়।” আমি উহার দর্শনের জন্য ক্ষুধিত । মহাত্মা দয়ালদাস পুনঃ পুনঃ বলিতেন ;-—‘বাঙ্গালী বাবাকে আমি আবার কিরূপে দেখিতে পাইব ।’’ মহাত্মা ছোট কাটিয়া বাবা দিনের মধ্যে কত বারই হঁহার কাছে আসিতেন যেন ইহাকে না দেখিয়া থাকিতে পারিতেন না । মহাত্মা অর্জন দাস ( ক্ষেপাচাদি ) বলিতেন ;--“সাক্ষাৎ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্ৰভু হ্যায়।” ইনি তঁহাকে অত্যন্ত ভাল বাসিতেন এবং কখন কখন প্রেমোন্মত্ত হইয়া তাহার সম্মুখে নৃত্য করিতেন, গান করিতেন ও চরণতলে পতিত হইয়া পদধূলি মস্তকে ও সর্বাঙ্গে লেপন করিতেন ; কখনও বা “দৌড়াইয়া গিয়া জড়াইয়! ধরিয়া প্ৰেমভারে আলিঙ্গন করিতেন । আবার কখনও বা আরতি করিতে করিতে নানা প্রকারে তঁহার প্রশংসা করিতেন। কখনও রা ইহার ভুক্তিাবশেষ হস্তে লইয়া আহার করিতেন ; আর বলিতেন ;-“এস সিদ্ধ মহাত্মা হাম কভি নেহি দেখা, হাম উনকো নফারুক নফরু। দিনরাত ধ্যানসে বঠ যাতা, পলক নেহি পড়ােতা।” কেহ কেহ বলিতেন ;-“এ বাবা সাচ্চ সাধু হ্যায়।” তিনি যখন সাধু দর্শনে বাহির হইতেন তখন রাস্তার চারিদিকে সকলেই তঁাহার দর্শনে আনন্দ প্ৰকাশ করিতেন ; এবং ‘হরিবোল’ “হরিবোল” ধ্বনি উঠিত। সন্ন্যাসীরা পৰ্য্যন্ত তঁাহাকে দেখিয়া হরিধ্বনি করিতেন । “কুম্ভমেলায় এক দিবস প্ৰাতঃকালে সাশিষ্যে তিনি আশ্রমে