পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰয়াগের কুম্ভমেলায়। sąę. বসিয়া আছেন। তখন মাঘ মাস, দারুণ শীত পড়িয়াছে, তাই শিস্যগণ ধুনির চতুর্দিকে বসি: ধৰ্ম্মালাপ করিতেছেন । হঠাৎ সকলে দেখিতে পাইলেন যে গোস্বামী মহাশয় খুব কঁাপিতেছেন। তঁহার গাত্রে ফ্লানেলের আলখেল্লা ও তদুপরি পুরু কম্বল ছিল, অথচ তিনি শীতার্ত হইয়া ভয়ানক क:िপাতেছেন, কোন কথাই বলিতে পারিতেছেন না, কেবল অঙ্গুলি নির্দেশে কি যেন দেখাইতেছেন। তখন শিষ্যগণ দেখিতে পাইলেন যে বহির্দেশে একজন শীর্ণ কলেবর দুঃখী নগ্নদেহে মাঘের সেই ভয়ঙ্কর শীতে ঠক ঠক করিয়া কঁাপিতেছে। গোস্বামী মহাশয় একদৃষ্টিতে সেই দিকে চাহিয়া আছেন আর সেইরূপ কঁাপিতেছেন। তখন তঁাহার অভিপ্ৰায় বুঝিয়া তাহার শরীর হইতে কম্বল খান খুলিয়া লইয়া সেই হতভাগ্যকে দেওয়া হইল। সেব্যক্তি ক স্বল গায়ে দিয়া ধুনিপর্শ্বে কিছু কাল বসিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ হইল, গোস্বামী মহাশয়ও স্থির হইলেন । * দ্বারা ভাঙ্গাতেও ঠিক এইরূপ ঘটনা হইয়াছিল । একটা শীতার্তা বালকের “কম্প দেখিয়। তাহার কম্প উপস্থিত হইয় ছিল এবং বস্ত্ৰদ্বারা বালকের শীত নিবারণের বন্দোবস্ত করিলে তাহার কম্প নিবারিত হইয়াছিল। সহানুভূতির কি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ! তাহার কোন অনুরাগী৷ উদাসীন শিস্য বলিয়াছেন, ‘কুম্ভমেলায় বাগচি। মহাশয়ের ( ইনি গোস্বামী মহাশয়ের একজন অনুগত শিষ্য ) অভিপ্ৰায় অনুসারে তঁাহার আশ্রমে গৌরনিতাইর মুক্তি প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল । গৌরনিতাই যে হরিনাম প্রচার করিয়া বঙ্গদেশ মাতাইয়াছিলেন। সেই নামমাহাত্ম্য প্রচারই ইহারও জীবনের ব্ৰত । নামের মাহাত্ম্য প্রচারকের প্রতি অকপট প্রেমের নিদশ-(স্বরূপই তাহার এই মুক্তি Frr সঞ্জীবনী, ১৩০৬ टा साp |