পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। ইতিষ্ঠায় অনুমতি দান। বল। বাহুল্য তঁহার আশ্রমে গৌরনিতাইর মূৰ্ত্তির পূজার কোন ব্যবস্থা হয় নাই। কুম্ভমেলায় একদিন পূর্ণানন্দ স্বামীর (ইনি একজন বিখ্যাত মহান্ত) সঙ্গে তাহার আলাপ ও প্রসঙ্গ হয় । ইনি গোস্বামী মহাশয়ের কপালে তিলক দেখিয়া বলিলেন ;—“তোরা ললাটমে ত মেরা মহাদেব ঝার। ফেরত” গোসাইজী উত্তর করিলেন ;—“মেরাত বহুত ভাগ হ্যায়, কি মহাদেবাজী হামারা ললাটমে টাটি ফেরুত।” যিনি যাহা বলিতেছেন অবনতমস্তকে তাহারই এরূপ সদর্থ কয় জনে গ্ৰহণ করিতে পারে ? কুম্ভমেলায় অবস্থানকালে একদিন সশিস্যে এলাহাবাদে সা সাহেবের ( একজন মুসলমান সাধু) আশ্রমে গমন করেন, এবং সশিষ্যে র্তাহার প্ৰসাদ ভক্ষণ করেন। তৎপর একদিন রাত্ৰিতে সা সাহেব কুম্ভমেলায় গোস্বামী মহাশয়ের আশ্রমে আসিলে তিনি তঁাহাকে পরমসমাদরে গ্ৰহণ করেন এবং নিজের পাশ্বে বসাইয়া ধৰ্ম্মালাপ করেন । ইহার পর মেলা ভাঙ্গিয়া গেল, সাধুরা পরস্পরকে ছাড়িয়া চলিলেন, তখন যেন কত যুগের বান্ধবের নিকট পরস্পর বিদায় গ্ৰহণ করিলেন। কোন প্ৰকার ঘটনায় র্যাহাদিগকে বিচলিত করিতে পারে না, কোন প্রকার আসক্তিতে র্যাহারা আবদ্ধ নহেন তাহদের চক্ষুতে ও জল আসিল । প্রেমিক গোস্বামী মহাশয়ের নেত্রযুগল অশ্রুসিক্ত হইল ; বড় কাটিয়া বাবার মুখমণ্ডল বর্ষণোন্মুখ মেঘমণ্ডলের আকৃতি ধারণ করিল ; সকলেরই প্ৰাণ ব্যথিত হইল। একমাস ব্যাপী মহোৎসবপূর্ণ প্রয়াগের চড়া একদিনে আবার যে শূন্যস্থান সেই শূন্যস্থানে পরিণত হইল । * মেলার অবসানে ফাস্তুন মাসে তিনি এলাহাবাদের বাসায় প্ৰত্যাগমন করেন । এই স্থানে তাহার কনিষ্ঠা কন্যা প্ৰেমসখীর বিবাহ হয় । আমরা

  • কুম্ভমেলা ও শিষ্যগণ হইতে সংগৃহীত ।