পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় অবস্থান। సిరి পূর্বের ন্যায় অবস্থান করিতে লাগিলেন এবং মৃত শবের নিকট কীৰ্ত্তন করিতে বলিলেন। উপযুক্ত গায়কের অভাবে যাহারা তথায় ছিলেন তাহারাই কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিলেন। কীৰ্ত্তন শুনিয়া গোস্বামী মহাশয় প্ৰেমাবেশে নৃত্য করিতে লাগিলেন ; “তঁহার উদ্ধে বিন্যস্ত দৃষ্টি পলকহীন, ও মাধুৰ্য্যপূর্ণ বদন কাস্তি অপূৰ্ব্ব প্ৰভায় আলোকিত হইল। বালুকণা যেমন সূৰ্য্যকিরণে জ্যোতিৰ্ম্ময় হয় তাহার সর্বশরীরও যেন তেমনি জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয়া উঠিল।” কীৰ্ত্তনান্তে তিনি একবার মৃত শবের মস্তকে তঁহার পদস্থাপন করিয়া পুনরায় গিয়া আসনে বসিলেন, এবং পূৰ্ব্ব নিয়মে কাৰ্য্যাদি চলিতে লাগিল । * তিনি কিছুদিন সুকিয়াষ্ট্রীটে রাখাল বাবুর বাড়ীতে বাস করেন। তখন একদিন শিস্যবৃন্দ এবং অপর অনেক লোকসহ বসিয়া আছেন এমন সময় রাখাল বাবু কোন সাহেবের হোটেল হইতে কিছু খাদ্য (নিরামিষ ) + আনিয়া আহারার্থে গোসাইজীকে দিলেন । তিনি উহা ভাগ করিয়া গৃহের সকলকে দিলেন এবং নিজেও আহার করিলেন । আহারান্তে র্তাহার জনৈক শিস্য বলিলেন ; —“আপনি এমন শুদ্ধাচারী অথচ আজ সাহেবের হোটেলের খাদ্য নিজে খাইলেন এবং আমাদের সকলকেও খাওয়াইলেন এ কেমন ? তিনি শুনিয়া স্তব্ধ হইয়া রহিলেন, এবং পরে করযোড়ে ব্ৰাহ্মসমাজের আরাধনার ন্যায় আরাধনা করিতে লাগিলেন। বলিলেন ;- “তুমিই সৰ্ব্বময়, সকল পদার্থেই তুমি আছি। আমি তোমাকে বিশ্বময় দেখিতেছি । তবে কিরূপে কোন খাদ্যদ্রব্য ঘুণা করিয়া তুচ্ছ করিব ? এবং কিরূপেই বা কেহ কোন খাদ্য দিলে তাহা অশ্রদ্ধা করিয়া ত্যাগ করিব ?” এই ভাবে আরাধনা করিয়া সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিলেন । ঘরভরা লোক সকলে । •(স্তব্ধ, কাহারও |+ o:: - I

  • নব্যভারত, ১৩০৬ সন | + একজন শিষ্য বলিয়াছেন কিছু মিষ্ট দ্রব্য।