পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

වේ.මෙහි , মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । কলিকাতার প্রসিদ্ধ জমিদার বদান্যপ্রবর শ্ৰীযুক্ত কালীকৃষ্ণ ঠাকুর মহাশর গোস্বামী মহাশয়কে নিজ ভবনে লইবার জন্য শ্ৰীযুক্ত রামকুমার বিদ্যারত্ন মহাশয়কে এক সময়ে তাহার নিকট পাঠাইয়াছিলেন । গোঁসাইজী বলিলেন ;—“আমি যাইতে পারির না।” পরে উক্ত ঠাকুর মহাশয় বলিয়া পাঠাইলেন যে -“আমি গোঁসাইজীর নিকট যাইয়। গোপনে কিছু কথা বলিতে চাই।” গোঁসাই জী বলিলেন ;—“আমার এখানে লোকেরা নিজের ইচছমত আসে এবং ইচ্ছামত বসে কাহাকে উঠিয়া যাইতে বলা হয় না, তিনি একজন সন্ত্রান্ত লোক, তিনি আসিবেন, অথচ হয়ত তখন এস্থান নিৰ্জন হইবে না, সুতরাং নির্জনে কথা কিরূপে হইবে ? বিশেষতঃ আমি অতি সামান্য ব্যক্তি, তিনি অতি ভাল ভাল সাধুদের সহিত আলাপ করিতে ও মনের কথা বলিতে পারেন” । * * গোস্বামী মহাশয় অনেক সময় বলিয়াছেন যে কালীকৃষ্ণ ঠাকুর মহাপ্ৰাণ ব্যক্তি, তঁহার অন্তঃকরণ অতি উচ্চ এবং তঁাহার ন্যায় বদ্যান্য লোক কলিকাতায় নাই বলিলেই হয়, অথচ সেই কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাড়ী গেলেন না । * * লোকশিক্ষা দানই ইহার বিশেষ কারণ। সেই সময় কলিকাতায় বড়ই সাধুর ধুম পড়িয়াছিল, এবং সাধুর বেশধারী অনেকেই ধনী দিগকে হস্তগত করিবার চেষ্টায় ছিলেন। কয়েকটী অবতারের দলও বাহির হইয়াছিলেন । যে ধনীকে হস্তগত করিতে হইবে তঁাহারা তঁহাকেও অবতারত্বের কিছু কিছু অংশ দিতেন, এই জন্যই বোধ হয় গোস্বামী মহাশয় উক্ত ঠাকুর জমিদার মহাশয়কে মহাপ্ৰাণ ব্যক্তি জানিয়াও কেবল ধনী বলিয়া তাহার রাড়ীতে যান নাই ।” “এই ঘটনার দুই তিন বৎসর পরে উক্ত ঠাকুর জমিদার মহাশয় বাবু মনোরঞ্জন গুহকে সঙ্গে করিয়া গোস্বামী মহাশয়ের দর্শনার্থে