পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় অবস্থান । වෛද් ! গিয়াছিলেন। সকাল বেলায় পাঠ সমাপ্ত হইয়াছে, এমন সময় ঠাকুর বাবু গোস্বামী মহাশয়ের নিকট পৌছিলেন । গোসাইজী মৰ্য্যাদা রক্ষার দৃষ্টান্ত স্বরূপ তাহাকে একখানা স্বতন্ত্র আসন দিলেন, বিনয়ী ঠাকুর বাবু আসনখানা পশ্চাতে রাখিয়া ভূমিতলেই উপবেশন করিলেন। কিছুকাল কথোপকথন করিয়া এবং সাধুর বেশধারী ব্যক্তিদিগের অত্যাচারের কথা কিছু বলিয়া ঠাকুর বাবু নিজ ভবনে প্ৰস্থান করিলেন । ইহার কয়েক দিবস পরে উক্ত ঠাকুর বাবু মনোরঞ্জন বাবুকে বলিলেন ;—“আমি এপৰ্যন্ত প্ৰায় চল্লিশ জন সাধু দ্বারা প্ৰতারিত হইয়াছি। প্ৰাণে যাহা একটু ভক্তিশ্রদ্ধা আসিয়াছিল, সাধুদের ব্যবহারে তাহাও বুঝি টিকিল না। তুমি গোসাইজীকে জিজ্ঞাসা করিবে, আমাদের তা দিব্যদৃষ্টি নাই, আমরা সাধু চিনিব কিরূপে” ? মনোরঞ্জন বাবু একথা গোস্বামী মহাশয়কে জানাইলেন ; গোসাইজী বলিলেন ; —“সাধু চেনা বড়ই শক্ত ; তবে কয়েকটি বাহ লক্ষণ আছে। সাধু কখনই ধনীর আশ্রয় গ্রহণ করেন না, সাধু কখনই আত্ম-প্ৰশংসা করেন না, সাধু কখনই পরনিন্দ করেন না, সাধু কখনও বুজরুকী করেন না, সাধু কখনই অপরের ধৰ্ম্ম বিশ্বাস নষ্ট করেন না ; অর্থাৎ ধনপ্ৰিয়তা, প্ৰশংসাপ্রিয়তা, পরনিন্দাপ্রিয়তা, বুজরুকী ও দল টানা ভাব সাধুতে কখনই থাকে না। এই কয়েকটী কথা লিখিয়া নিয়া মনোরঞ্জন বাবু ঠাকুর মহাশয়কে দিলেন, তিনি কাগজখানা একজন অনুগত লোককে বাক্সে পুরিয়। রাখিতে বলিলেন । সেকথা আসিয়া মনোরঞ্জন বাবু গোসাইজীকে বলিলেন। তিনি একটু হাসিয়া বলিলেন ;—“রাখিলে কি হইবে, উনি ( ঠাকুর বাবু) যেরূপ সরল ও অমায়িক লোক ধূৰ্ত্ত লোকের হস্ত হইতে রক্ষা পাওয়া উহার পক্ষে কষ্টসাধ্য। যদি উহার হিতৈষী সুবোধ কোন কৰ্ম্মচারী