পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবনে অর্থস্থান। లిలిసి সুতরাং তাঁহাদের একটু বিলম্বে আসাই ভাল।” তিনি বলিলেন, “সে কি ?’ কথানুরূপই কাৰ্য্য করা উচিত। যখন কথা তখনই তাহাদিগকে আনা উচিত। আমার চা খাওয়া দেখিলে তঁহাদের অশ্রদ্ধা হইবে বলিয়া আমি কি করিব ? আমি গোপন করিয়া কাৰ্য্য করিতে ইচ্ছা করি না ।” + তিনি যখন যেখানে থাকিতেন তথায় নিয়মিতরূপে শাস্ত্ৰ পাঠ । ও কীৰ্ত্তনাদি হইত ; কখনও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হইত না । বৃন্দাবনেও এই নিয়ম ছিল । তিনি সকাল বেলা তাহার এক জন শিষ্যের মুখে কিছুক্ষণ বৈষ্ণব গ্ৰন্থ পাঠ শুনিতেন, তৎপর নিজে কিছুক্ষণ পড়িতেন। সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রতিই তাহার সন্মান ও শ্রদ্ধা ছিল। ভাগবত, পুরাণ, চৈতন্য-চরিতামৃত, তুলসীদাসের রামায়ণ, গুরু নানকের গ্ৰন্থসাহেব তঁাহর নিত্যপাঠ্য ছিল । গুরু নানকের গ্ৰন্থ পড়িতে তিনি সমধিক ভাল বাসিতেন, এজন্য প্ৰতিদিন অনেকক্ষণ উহা পড়িতেন । বৃন্দাবনে একদিন ভাবে মগ্ন হইয়া সুর করিয়া নানকের গ্ৰন্থ পড়িতেছেন এমন সময় একজন। বৈষ্ণব সাধু আসিয়া তাহার সম্মুখে উপবেশন করিলেন। তিনি করিতেন, ইহা বৈষ্ণব রীতি বিরুদ্ধ হওয়াতে বৈষ্ণবগণ র্তাহার কাৰ্য্যের সমালোচনা করেন। তাহা শুনিয়া পণ্ডিত ভারতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ব্যথিত হইয়া তাহার ব্যবহারের জন্য প্রত্যুষে ক্ষুদ্র একটী পাত্রে চন্দন রাখিয়া যান। তদবধি গোঁসাইজী চা পানের পূর্বে তিলক কাটতেন। তিনি স্বয়ং কোন সংস্কার বা রীতি রক্ষার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন না। তিলক, মালা, গেরুয়া, জট ইত্যাদি বাহ্য চিহ্ন সমূহ অন্যের অভিপ্ৰায়ে বা সন্তো মার্থে ব্যবহার করিতেন ! কোনটী বা কাহারও স্মৃতিস্বরূপে ব্যবহৃত হইত। ইহার কিছুতেই তিনি আবদ্ধ বা আসক্তিযুক্ত ছিলেন না ; অনাসক্ত মুক্তাত্মার সমস্ত লক্ষণ তঁহাতে ছিল।” + নব্যভারত, ১৩০৬ সন ।