পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిశిx. Is বিজয়কৃষ্ণ ८छ्ौ |

    • তিনি ভাদ্রমাসে ( ১৩০২ সন ) অসুস্থ দেহে বৃন্দাবন, হইতে কলিকাতা প্ৰত্যাগমন করেন ; এবং অগ্রহায়ণ মাসে ঢাকার আশ্রমে উপস্থিত হন । এইবার মাঘ মাসে গেণ্ডারিয়া আশ্রমে অদ্বৈতচাৰ্য্যের জন্মতিথি উপলক্ষে ধূলট উৎসব হয়। ঢাকাতে আরও কয়েক বার ধূলট উৎসব হইয়াছিল, কিন্তু এই বারে অত্যন্ত সমারোহ হয়। এতদুপলক্ষে সপ্তাহকাল দিবানিশি হরিনাম সংকীৰ্ত্তনে ঢাকার নরনারী প্ৰমত্ত হইয়া উঠিয়াছিল । তাহার কোন নির্দিষ্ট আয় ছিল না, কিন্তু তিনি একমাত্ৰ ঈশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া এই কয়েক দিন অহনিশি দীনদুঃখী গরীব কাঙ্গাল এবং অন্যান্য যে কেহ আসিয়াছিল তাহাদিগকে পরিতোষ পূর্বক খাওয়াইয়াছিলেন । এই আহারে জাতির বিচার ছিল না । জাতিনির্বিশেষে সকলে একত্ৰ ভোজন করিয়াছিল । উৎসবের বিপুল আয়োজন দেখিয়া লোকের মনে বিস্ময় জন্মিয়ছিল । দশ বার জন পাচক নিয়মিত রূপে রন্ধনের কাৰ্য্যে ব্যাপৃত রহিয়াছে, শত শত কাঙ্গালী এবং অপর লোক দলে দলে বসিয়া নানাবিধ সুখাদ্যদ্বারা উদর পূর্ণ করিয়া অহার করিতেছে, আর সংস্থানহীন একজন উদাসীন ব্যবস্থা করিতেছেন, ইহা দেখিয়া কাহার না বিস্ময় জন্মে ? ভোজনের সময় গোস্বামী মহাশয় স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া ইহাকে আরও সন্দেশ দাও, এই বুড়কে আরও কয়েকটা রসগোল্লা দাও, এই বলিয়া বলিয়া মায়ের মতন আদর করিয়া লোকদিগকে খাওয়াইয়াছিলেন । ঢাকাতে লোকের মুখে এরূপ কথা শুনিতে পাওয়া গিয়াছিল যে ;-“ভদ্রলোক, ব্ৰাহ্মণ সজনকে সকলেই যত্ন করিয়া থাকে, কিন্তু গরীব দুঃখীকে।” এমন আদর করিয়া এমন ভাল বাসিয়া বাজারের সর্বোৎকৃষ্ট সন্দেশ মিষ্টান্ন দিয়া ভোজন করায় এমন