পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় অবস্থান।। ৩৪৩ আর দেখা যায় না ।” এই উৎসবে নানা স্থান হইতে র্তাহার শিষ্য গণ আসিয়া তাহার আশ্রমা পূর্ণ করিয়াছিলেন ; * এবং তঁহাদিগের বাসের জন্য কয়েকটা বস্ত্ৰাবাস ( তাবু ) স্থাপন করিতে হইয়াছিল। একদিন একজন বেশ্য আসিয়াছিল এবং তাহার চক্ষু হইতে অশ্রু পাত হইয়াছিল ; গোসাইজী তাহাকে দেখিতে পাইয়া প্ৰসাদ দিতে বলেন, এবং একজন শিষ্য তাহাকে প্ৰসাদ দান করেন । অতঃপর তিনি ঢাকা হইতে কলিকাতা গিয়া আরও দুই বৎসর তথায় অবস্থান করেন । এই সময় সৰ্ব্বদা তাহার। আবাস শিষ্য ও অনুগত জনের সমাগমে আনন্দ পুর্ণ হইয়াছিল । শিষ্যগণের অনুরাগ কত তাহা ইহাতেই বোধ হইবে যে র্যাহারা সমস্ত দিবস আফিসের কাৰ্য্যে আবদ্ধ থাকিতেন তাহারাও সায়ংকালে সংসারের বন্ধনমুক্ত হইয়া দুই এক ক্রোশ দূর হইতেও তাতার শান্তিকুটীরে আসিয়া মিলিত হইতেন ; এবং অনেকে তঁাতার গৃতে রজনী যাপন করিয়া অতুল আনন্দ অনুভব করিতেন । গেগুরিয়া আশ্রমে এবং কলিকাতায় অনেক সময় দেখা গিয়াছে যাহারা সুখে বৰ্দ্ধিত তাহারাও সামান্য আসনে উপবেশন করিয়া ও বিনা উপাধানে শয়ন করিয়া ও পরমানন্দো দিন যাপন করিতেন । তাহার সহবাসই তাহদের আনন্দ নিকেতন ছিল । তাহার ও শিস্যগণের প্রতি অত্যন্ত ভালবাসা ছিল । তাহারা প্রত্যেকেই মনে করিতেন গুরু। তাহকে অধিক ভালবাসেন । কিন্তু তাহার ভালবাসায় ইতারবিশেষ ছিল না, সকলকেই সমান দেখিতেন। একদিন একজন আত্মীয় যোগজীবন বাবুর ভবিষ্যতে কি হইবে এই ভাবের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়াছিলেন ;- “আমি যোগজীবন ও রাস্তার মুটোতে কোন তফাৎ দেখি না।” কে ২শিষ্যগণের মধ্যে ইত্যর বিশেষ ।

  • সঞ্জীবনী, ১৩০৬ ।