পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ব্যক্তি সত্য উপাসনা করে তাহার সঙ্গে উপাসনা করিও। তাহা হইলে বুঝিতে পারিবে । গয়ার পথে যে স্থানে চৈতন্যদেব স্নান করিয়াছিলেন আকাশগঙ্গার পীঠস্থ সেই বিষ্ণুপাদোদক তীর্থে আমরা চৈতন্যের জন্মোৎসব করি।-- তাম। গোস্বামী মহাশয় আকাশগঙ্গা পাহাড় হইতে নামিয়া আসিয়া উৎসবে যোগ দিয়াছিলেন । প্ৰাতে সাড়ে সাত ঘটিকা হইতে কীৰ্ত্তন আরম্ভ হইলে তিনি কীৰ্ত্তনে যোগ দিলেন এবং দুই তিন ঘণ্টা ভাবে নৃত্য করিলেন । কীৰ্ত্তনান্তে উপাসনা করিতে বলা হইলে বলিলেন, ‘হরিসুন্দর বাবু করিবেন।” হরিসুন্দর বাবু উপাসনা করিলেন । ঐ দিন তাহার নৃত্য ও ভক্তির উচ্ছাস দর্শনে উপাসকগণের মন অত্যন্ত আৰ্দ্ধ হইয়াছিল। একদিন তিনি গায়াতে মন্দিরে উপাসনার কাজ করেন এবং ধ্রুবের উপাখ্যান অবলম্বনে হৃদয়স্পৰ্শী উপদেশ দেন । তাহার ভক্তি ভাবের দৃষ্টান্তে উপাসকগণ নিতান্ত মুগ্ধ হইয়াছিলেন । কাহারও মন্দের প্রতি তাহার দৃষ্টি আদৌ ছিল না। আমি এবং প্ৰকাশ বাবু একবার একদিন দুই তিন ঘণ্ট। তাহার নিকট অবস্থিতি করিয়াছিলাম ; দেখিলাম কাহারও বিরুদ্ধে কোনরূপ তিক্তিভাব তাহার মনে নাই | সকলের সম্বন্ধে মিষ্টিভাব পোষণের অকাজক্ষা অত্যন্ত বেশী দেখিলাম। প্ৰকাশ বাবু বলিলেন ;---“আমার গৃহে একবার যাবেন না ?’ উত্তর-—“গুরুর আদেশ এই দেবদর্শন, তীর্থদর্শন এবং গঙ্গাস্নান ব্যতীত অন্য কারণে আসন ত্যাগ না করি । আপনার গৃহে যাওয়ার কারণ ইহার কোনটী নয়, এজন্য যাইতে পারিব না।’ তাহাকে দেখিয় তাহার সঙ্গে আলাপ করিয়া সৰ্ব্বদাই মনে হইত। তিনি অহনিশি মিষ্টতাসাধন করেন ; মিষ্টতার সাধনে মিষ্টতালাভ করিয়া তিনি মিষ্ট হইয়া গিয়াছেন । এজন্য মতের কোন কথা তাহার নিকট উৎখা