পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। না ” তখন বলিলেন ; —“মন্দ কাজ করিয়া আমার উপর দিও তবুও সাধন কর।” এইরূপ প্রেমের কথা শুনিয়া ঐ ব্যক্তির পরিবর্তন হইল, তিনি ধৰ্ম্মসাধনে অনুরাগী হইলেন । আয়তনাম্প্রদায়িক ভাব । তিনি শেষ জীবনে বৈষ্ণবভাবপ্রধান 'হাইলেও সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ছিলেন । তঁহার বাহ্যচিহ্ন ও ব্যবহার ও ইহার অনুরূপ ছিল। কণ্ঠে বৈষ্ণবের তুলসীর মালা, পরিধানে গেরুয়া, বহিৰ্ব্বাস, কৌপিন, গলদেশে শৈবের রুদ্রাক্ষমালা, মুসলমানের স্ফটিকামালার সঙ্গে কপালে তিলক, মস্তকে জটাজুট দেখিলে কে মনে করিতে পারে তিনি কোন বিশেষ সম্প্রদায়ে আবদ্ধ ছিলেন ? বস্তুতঃ তাহার নিকট যখন যাহা, কৰ্ত্তব্য বোধ হইয়াছে অকুতোভায়ে তাহারই অনুষ্ঠান করিয়াছেন ; সামাজিক কি লৌকিক কোন প্ৰকার সংস্কার বা ভয় তাহাকে কোন কাৰ্য্য হইতে নিরস্ত করিতে পারে নাই । ধৰ্ম্মের নামে দেশে নানা প্রকার ভাণ্ডামি ও নানাপ্রকার বাহ্যিাড়ম্বর দেখিয়া তিনি সময় সময় বলিতেন ;—“আমার অনেক সময় ইচ্ছা হয় এই জটাজাল কাটিয়া ফেলি, গেরুয়া পরিত্যাগ করি, কিন্তু কি করিব, গুরুজীর বিশেষ আজ্ঞ। তাই সং সাজিয়া বসিয়া আছি। নতুবা এমন ইচ্ছা হয় আমার নামটী পৰ্য্যন্ত উঠিয়া যায় ; সকলের পায়ের ধূলি হইয়া থাকি।” "জাতিভেচদ । র্তাহার কলিকাতার আশ্রমে একদিন কোন একজন শিষ্যের ( ইনি জাতিতে নিয়শ্রেণীভূক্ত ছিলেন ) আহারের স্থান লইয়া শিষ্যগণের মধ্যে মতভেদ হয় । কেহ কেহ তঁাহার সঙ্গে এক পংক্তিতে আহারে অনিচ্ছক হইয়া তাহাকে পৃথক স্থানে দিতে অভিলাষী হন। কিন্তু গোস্বামী মহাশয়ের মত না লইয়া এরূপ করা সম্ভবপর না হওয়াতে