পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r A৩৫ধু মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । o গল্পটী বলিলেন —একটী নারী যৌবনে তীব্রবৈরাগ্যের উদয়ে স্বামীর উপর পুত্রকন্যার ভারদিয়া গৃহত্যাগী হন এবং পুৰুষোত্তম ইত্যাদি বহুতীর্থ পৰ্য্যটন করিয়া অবশেষে বৃন্দাবনে অবস্থান করিতে থাকেন । এই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পরিচয় হইলে জিজ্ঞাসা করিলাম ;—“এই যৌবনকালে একাকিনী ভ্ৰমণ করিতে কি কোন বিপদ ঘটে নাই ?” নারী উত্তর করিলেন ;-“ভগবান যাহার সহায় তাহার আবার বিপদ কি ? তবে একটী ঘটনার উল্লেখ করিতেছি । যখন পুরুষোত্তম হইতে ভ্ৰমণ করিতে করিতে দক্ষিণাভিমুখে যাই তখন একদিন নিশাকালে কতিপয় সাধুর বাসস্থান এক গৃহে স্থান গ্ৰহণ করিয়াছিলাম। অধিক রাত্ৰিতে একজন ব্যতীত একে একে সাধুদের সকলেই প্ৰস্থান করিলেন। তখন গৃহবাসী সাধুর দুরভিসন্ধি বুঝিয়া মনে হইল নিৰ্জন স্থানে অবলা নারী কামাখীর হাতে পড়িয়াছি ; ভগবান ভিন্ন আর উপায় নাই । নীরবে মা জগদম্বাকে ডাকিতে লাগিলাম। অকস্মাৎ দেখি একটী প্ৰকাণ্ড ব্যাস্ত্ৰ গৃহে প্ৰবেশ করিয়া সন্ন্যাসীকে লইয়া প্ৰস্থান করিল। ঐ প্রদেশে তখন কেহ বাঘের নামও শুনিতে পায় নাই ; মা জগদম্বা আমাকে রক্ষা করিলেন।” ভগব।দ্বিশ্বাসীর জীবন এইরূপে ভয়বিপদ হইতে মুক্ত হয়, তাহার উপদেশের ইহাই উদ্দেশ্য। জীব জীবজন্য জীবনং। একদিন গেণ্ডারিয়া আশ্রমে নিরামিষ ও আমিষ আহার সম্বন্ধে, আলোচনা হইতেছিল। শিষ্যগণের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। নিরামিষ আহারের অনুকূলে নানাযুক্তি শুনিয়া সকলের মন তদুপযোগী ভাবে পূর্ণ হইয়াছিল। ইতিমধ্যে অকস্মাৎ একটা বড় ইন্দুর কোথা হইতে আসিয়া নিকট দিয়া যাইতেছে দেখিয়া একটী বিড়াল লহ্মদিয়া গিয়া উহাকে কামড়াইয়া ধরিল এবং মুহুৰ্ত্তমধ্যে বিনাশ করিয়া ফেলিল;