পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । কখনও আহার করিতে করিতে অজ্ঞান হইতেন, কখনও চা পান করিতে করিতে বাটী হাতে করিয়া বেহুস হইয়া থাকিতেন ; *কখনও ফুলগাছে ফুল ফুটিয়াছে দেখিয়া তন্ময় হইয়া যাইতেন । একবার শিস্যদল সহ ঢাকা হইতে জয়দেবপুর গিয়াছিলেন । তথায় আহারে বসিয়া ভাতে হাত দিয়াই ভাবে বিভোর হইলেন এবং অস্পষ্ট স্বরে বিড় বিড় করিয়া কত কি বলিতে লাগিলেন । আবেশ ভঙ্গে বলিলেন, “মা আমাকে উদরপূর্ণ করিয়া আহার করাইয়াছেন, আমি আর খা’ব না ।” সে দিন তাহার। আর আহার হইল না । একবার মাঘোৎসবের সময় সূৰ্য্যগ্রহণে সূৰ্য্যের পূর্ণগ্ৰাস হয়। এই বার গ্রহণের সময় তাহার কলিকাতাস্থ আশ্রমে খুব কীৰ্ত্তন হইতেছিল। তিনি কীৰ্ত্তনে বাহুত্তোলন করিয়া নৃত্য করিয়াছিলেন এবং পরে সুৰ্য্যের দিকে এক দৃষ্টিতে চাহিয়া একভাবে ২৩ ঘণ্টা ধ্যানস্থ ছিলেন। এই সময় তাহার বাহ্যজ্ঞান ছিল না । তাহার ঢাকায় অবস্থানকালে একদিন হরিসভার লোকেরা তাহাকে র্তাহাদের কীৰ্ত্তনে আহবান করেন। কীৰ্ত্তনে তিনি খুব নৃত্য করেন। এবং অজ্ঞান হইয় পড়েন । শ্ৰীযুক্ত বনমালী গুপ্ত নামক জনৈক আয়ুৰ্ব্বেদজ্ঞ কবিরাজ গোসাইজীর এই অবস্থা দর্শনে কৌতুহলী হইয়া অনুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হন - ইহা মূৰ্ছা কি সমাধি। আয়ুৰ্ব্বেদোক্ত লক্ষণ মিলাইয় তাহার ধারণা হইল ইহা মুচৰ্চা নয়, সমাধি। তদবধি কবিরাজ মহাশয় তাহাকে একজন মহাযোগী জ্ঞানে ভক্তি করিতেন । * বৃন্দাবনের একটী ঘটনা তিনি স্বয়ং এইরূপ বলিয়াছেন ;-বৃন্দাবনে আমি একদিন পায়খানায় গিয়াছি। এমন সময়ে নগর সংকীৰ্ত্তন যাইতেছিল। মনে করিলাম জলশৌচ করিয়া আলখেল্লা ছাড়িয়া

  • উক্ত কবিরাজ মহাশয় বরিশালে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্র বাবুকে ইহা বলিয়াছিলেন।