পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মদর্শন। సోసి কীৰ্ত্তনে যাই। ইহার মধ্যে কখন কীৰ্ত্তনে প্ৰবেশ করিয়াছি জানি না। কীৰ্ত্তনের পরে গৌরশিরোমণি মহাশয় প্ৰসাদ দিলেন, খাইলাম। বাসায় আসিয়া মনে হইল জলশৌচ করি নাই। পরে গৌরশিরোমণি মহাশয়ের নিকট গিয়া বলিলাম মহাশয় এই ঘটনা । তিনি আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, “আপনি যে ব্ৰাহ্মসমাজে গিয়াছিলেন তাহ নিস্ফল হয় নাই। কারণ ব্ৰহ্মজ্ঞান না হইলে ভক্তিতে অধিকার জন্মে না। এই জন্য মহাপ্ৰভু আপনাকে ব্ৰাহ্মসমাজে লইয়া গিয়াছিলেন । যাহা সত্যভাবে করা হয় তাহা কখনও নিম্বফল হয় না । <र**ा | একদিন দ্বারভাঙ্গার পথে বেড়াইতেছিলেন । দেখিলেন পথপার্শ্বে পলাশরুক্ষে পলাশফুল ফুটিয়া রঙ্গিয়াছে ; ভাবে বিভোর হইলেন ; এবং মানুষকে ধাক্কা দিতে দিতে লইয়া গেলে যেরূপ হয়। সেই ভাবে গিয়া কিছুক্ষণ অজ্ঞান হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন । তৎপর। সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন ;-“পলাশরুক্ষের ভিতর হইতে মা উকি দিতেছিলেন ।” একবার একটি মুটে মোট নিয়া আসিয়াছে ; তিনি তাহার মধ্যে যেন কাহাকে দেখিয়া অধীর হইলেন, এবং কাদিতে কঁাদিতে তাহার পায়ে পড়িয়া সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিলেন । মুটেও বাবা বাবা বলিয়া নয়ন • জলে ভাসিতে লাগিল। সে দৃশ্য যাহারা দেখিল তাহারাও চক্ষুর জল ব্ৰাখিতে পারিল না । একদিন গেণ্ডারিয়া আশ্রমে প্ৰাতে পায়খানার পথে তঁাহাকে অতি সঙ্কোচে পদক্ষেপ করিতে দেখা গেল । এইরূপ করিতে করিতে भूङ्खै মধ্যে আজ্ঞান হইয়া ধরাশায়ী হইলেন। তখন তাহার নিকট কীৰ্ত্তন করিলে পুনরায় জ্ঞান হইল। কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন, “দুৰ্ব্ব