পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী যাত্ৰা । రిసి কিরূপ শ্রদ্ধাযুক্ত ইহাদ্বারা তাহার কথঞ্চিৎ পরিচয় পাওয়া যায় । যে নীলাচল ভূমি গোস্বামী মহাশয়ের প্রিয় শচীনন্দনের প্রিয় স্থান, যথায় শচীনন্দন কত সাধন ভজন ও হরি গুণ কীৰ্ত্তনে, যাপন করিয়াছিলেন, যথায় শত শত নরনারী তাহার মুখে হরিনাম শ্রবণ করিয়া পাগল প্ৰায় হইয়াছিল এবং অধশেষে যে স্থানে তাহার। ইহামে একের লীলার শেষ হইয়াছিল, সেই পুণ্য ভূমি দর্শনের জন্য ব্যগ্র হওয়া প্রেমিক গোস্বামী মহাশয়ের পক্ষে স্বাভাবিক। নীলাচলের গৌরব স্থান শ্ৰীক্ষেত্রেই জ্যোৎস্না। রজনীতে বারিধি বক্ষে ভগবৎ সৌন্দৰ্য্য দর্শনকারিয়া গোরা আত্মহারা হইয়াছিলেন, এবং সমুদ্রগর্ভে দেহ বিসর্জন করিয়াছিলেন । ভক্ত গোস্বামী মহাশয় যাহার সৌন্দৰ্য্য দর্শন আশায় দেশ দেশান্তরে ঘূরিয়া ফিরিতেন, পুরুষোত্তমে না জানি তঁহার কত করুণা প্ৰত্যক্ষ হইবে এই আশায় অতঃপর তিনি পুরী যাত্ৰায় অভিলাষী হইলেন । তঁহার জননী তাহাকে পুরী যাইতে নিষেধ করিয়া গিয়াছিলেন । হয়ত তাহার মনে হইয়াছিল ;–“আবেগ সম্বরণ করিতে না পারিয়া গোরা যেমন দেহ বিসর্জন করিয়াছিলেন, বিজয়ও তেমনি আত্মসম্বরণ করিতে অসমর্থ হইয়া না জানি কি ঘটায়।” পুলের অলৌকিক ভক্তি, অনুরাগ ও ভাকাবেশ দর্শনে পুত্রবৎসল জননীর প্রাণে এরূপ ভয় হওয়া কিছুই বিচিত্ৰ নহেঁ । গোস্বামী মহাশয় যৌবনে ধৰ্ম্মসাধন ও ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য যেরূপ কঠোর পরিশ্রম ও তপস্যা করিয়াছিলেন তাহাতে তঁাহার শরীর শেষ অবস্থায় একেবারে ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল, একপ্রকার আচল হইয়া পড়িয়াছিলেন। এজন্য প্রায় দুই বৎসরকাল কলিকাতা ছাড়িয়া অন্যত্র যাতায়াত করিতে সমর্থ হন নাই। কিন্তু পুরুষোত্তম দর্শনে ব্যগ্ৰ হইয়া আর স্থির থাকিতে পারিলেন না, ভগ্ন দেহেই যাত্ৰা করিলেন (২৪শে ফাল্গুন ১৩০৪ বঙ্গাব্দ) । শরীর অত্যন্ত অসমর্থ হওয়ায় তাহার