পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরীতে সেবা । তাহাদিগকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন । ভাল ভাল কলা ও चाथ খোসা মুক্ত করিয়া স্বহস্তে, তাহাদিগকে খাইতে দিতেন । ইহাতে বানরগুলি এতদূর অনুরক্ত হইয়াছিল যে যখন তখন তঁাহার নিকটে আসিত এবং নিৰ্ভয়ে পাশ্বে বসিয়া থাকিত। যে সমস্ত বানর সর্বদা আসিত তিনি তাহ দিগর্কে সরলচিত্ত, দাদা মহাশয়, নাক কাটা, বুড় গোদা, লেজ কাটা, বুড়ী, দুঃখিনী, কাণ কাটা, লালমুখ, কাণি ইত্যাদি নামে ডাকিতেন ; এবং প্রতিদিন নিয়মিতরূপে ক’লা, ছোলা, চাউল ইত্যাদি খাইতে দিতেন । কেবল বানরজাতি নয়, সমস্ত প্ৰাণীতে তাহার ভালবাসা বিস্তৃত হইয়াছিল। তাহার আশ্রম-দ্বারে অনেক সময় এক দল মেষ আসিয়া শব্দ করিত, তিনি তাহাদিগকে চাউল, ছোলা ইত্যাদি খাইতে দেওয়াইতেন ; একটা ষাড় আসিত, তিনি তাহাকে ছোলা, কন্দ, ঘাস ইত্যাদি দেওয়াইতেন । পুরীর মন্দির-দ্বারে একটা গরু ছিল, যখনই মন্দির দর্শনে যাইতেন গরুটকে ঘাস দেওয়াইতেন ; দলে দলে পাখী। আশ্রমে আসিত, তাহদের জন্য শস্যাদি ছ৬াষ্টয়া দিতেন ; অনেক সময় পিপীলিকা, ইন্দুর, অতু শুলী, চড়ুইপাখী প্রভৃতিকেও আহার দিতেন। তঁহার পাশ্বাস্থ গ্ৰন্তাধারের ( চৌকি ) নীচে এই উদ্দেশ্যে বাতাসা রশিখিতেন যেন পিপীলিকায় খাইতে পারে । এইরূপে সৰ্ব্বদা জীবসেবায় নিরত ছিলেন। সকল প্ৰাণী তৃপ্ত হইলে সৰ্ব্বভুতান্তরাত্মা পরমাত্মা পরিতৃপ্ত হন। এই জ্ঞান তঁহাকে জগতের সমস্ত প্রাণীর হিতার্থে আত্মোৎসর্গ করিতে বাধ্য করিয়াছিল । তাহদের সুখ দুঃখের উপর তঁহার জীবনের সমস্ত সুখ দুঃখ ন্যস্ত হইয়াছিল। র্তাহার পুরী অবস্থান কালে পুরী মিউনিসিপালিটী মন্দিরপ্রাচীর সংলগ্ন করিয়া একটী পায়খানা নিৰ্ম্মাণে ব্যাপৃত হইয়াছিলেন । তিনি