পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃতকলেজে শিক্ষা । x3 দিন শুনিলেন, “পরলোক চিন্তা কর। "তুমি পরলোক চিন্তা করা।” কোথা হইতে এই শব্দ আসিল বুঝিতে পারিলেন না, কে র্তাহঁাকে তাহার জীবিকার নিশ্চিত পন্থী পরিত্যাগ করিয়া অনিশ্চিত রাজ্যের অনুসন্ধানে আহবান করিলেন তাহাও নির্ণয় করিতে পারিলেন না, কিন্তু ভয়ে, উদ্বেগে তাহার দেহ खब्राउिछूङ इछेत् । র্তাহার ন্যায় সরল ধৰ্ম্ম-পিপাসু ব্যক্তির পক্ষে ধৰ্ম্ম-বিশ্বাসের শিথিলতার অবস্থায় শুষ্ক-ভাবে জীবন যাপন করা কিরূপ ক্লেশকর হইয়াছিল তাহা সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। যখন হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি র্তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, তখন তদানুষঙ্গিক অনুষ্ঠান-পূজা, অৰ্চনা, তিলকাদি ধারণ করিয়া র্তাহার দিন শান্তিতে অতিবাহিত হইত ; কিন্তু বেদান্তের অহং ব্ৰহ্মবাদ তাহার সেই শান্তির ভূমি উৎখাত করিয়া দিয়াছে। আবার তৎপরিবর্তে সত্য-ধৰ্ম্ম কি এবং কি উপায়ে সেই ধৰ্ম্ম অর্জন করিতে হয়, তাহাও তাহার নিকট প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। এই সময় সংশয়াত্মিক-বুদ্ধি এবং তজ্জনিত শুষ্কতায় তঁকুর অন্তরে যে যাতনার সঞ্চার হইয়াছিল। অন্তৰ্যামী ভিন্ন অপারে তাহার কিছুই বুঝিতে পারে নাই। ইতিমধ্যে কোন সময়ে পাঠ্য পুস্তকের কোন স্থানে একেশ্বরের উপাসনার কথা পড়িয়া তৎপ্রতি তাহার মনোযোগ আকৃষ্ট হইয়াছিল ; এবং উহা সংশয়ের অন্ধকারের মধ্যে র্তাহার নিকট যেন একটী আলোক-রেখার ন্যায় বোধ হইয়াছিল ; কিন্তু তদ্বারা সংশয় । দূর হয় নাই । যাহা হউক, কিছুদিন পরে গুরু-ব্যবসায় উপলক্ষে তাহাকে বগুড়া যাইতে হয়। তথায় গিয়া তাহার যেরূপ পরিবর্তন ঘটিল। তাহা নিয়ে বিবৃত হইতেছে :- “গোস্বামী মহাশয় বগুড়ার উত্তর দিকস্থ কোন কোন গ্রামে