পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯৫

পুৱীতে WF || IOS দিলেন, এবং আশ্রমে আসিয়া কয়েকজন সাধুকে ঘটী, কমণ্ডলু ও ধুতি চাদর দান করিলেন। একদিন একজন সন্ত্রাস্তব্যক্তি ( ইনি অনেক সময় আশ্রমে আসিয়া তাহার সাহিত সাক্ষাৎ করিতেন ) একজন লোককে অনুরোধপত্ৰ দিয়া দান গ্রহণের জন্য তঁাহার নিকট পাঠাইয়াছিলেন। এ ব্যক্তিকে তিনি কিছুই দিলেন না, বলিলেন ;-“এ দান উপরোধের ব্যাপার নয়।” একদিন সমৃদহ্মানে গিয এক বা বাজিকে পাঁচটী টাকা ও কয়েকটী বালককে ঘটী ও ধুতিচাদর এবং এক । সন্ন্যাসীকে উৎকৃষ্ট মুগার বস্ত্ৰ দান করেন। আর একদিন আশ্রমের নিকটস্থ সমস্ত পুলিস, মিলিটারী পুলিস, কাচারীর পেয়াদা, দপ্তরী দিগকে ধুতি চাদর দান করেন ; এক বাবাজিকে মটকার কাপড়, ঘটী, এক ঠাকুরের সমাধিমন্দিরের জন্য একটিী ঘটী দান করেন । অপর একদিন কতকগুলি পুলিসকে বস্ত্ৰ দান করেন, অন্য দিন বিভিন্ন আফিসের পেয়াদ, পিয়ন, দপ্তৱী, পুলিসকে ধুতি দান করেন। একদিন এক রোগীকে ধুতি চাদর, এক ব্যক্তিকে পাথেয়। বাবদ পচিশ টাকা দান করেন । অপর একদিন কতকগুলি পুলিসকে ধুতিচাদর, এক সাধুকে দশ টাকা, এক গোসাইকে ঘর মেরামতের জন্য বিশ টাকা দান করেন । এইরূপে প্ৰতিদিন অজস্র দান চলিতে থাকে। এই সমস্ত দানও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র । এতদ্ব্যতীত কয়েকদিন বিপুল আস্লোজনে লোটা, বস্ত্ৰ দান কবেন ও দুঃখী, কাঙ্গাল, পরদেশী, সাধু, ব্ৰাহ্মণ ইত্যাদি সকলকে পরিতোষ পূর্বক ভোজন করান। ২০শে চৈত্রের দান বিশেষ উল্লেখযোগ্য, ঐ দিন বড় আখড়ার বিস্তুত ময়দানে, গৃহের ছাদে, নীচে, আহারের স্থান করা হইয়াছিল ; ভাড়ে ভাড়ে মহাপ্ৰসাদ, তরকারী, মালপোয়া, দৈ ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে সংগৃহীত হইয়া স্তুপাকার হইয়াছিল । বিভিন্ন ব্যক্তির প্রতি বিভিন্ন