পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরীতে न्मि । ...oዓvo দিতে কতদূর বিশ্বাস ও নির্ভর আবশ্যক, এবং কিরূপ মানুষের প্রতি বিষয়ী লোকের পক্ষে এতদূর নির্ভরশীল হওয়া সম্ভবপর হইতে পারে তাহা বিবেচনার বিষয় । ঋণশোধের জন্য একজন শিষ্যকে চিন্তিত হইতে দেখিয়া তিনি বলিয়াছিলেন ;—“ভগবান অর্থ দিবেন। কি না। তিনিই জানেন, তজন্য আমাদের 'এত ভাবনার দরকার কি ? এ তাহারই ঋণ । তিনিই যাহা হয় করিবেন। সকলকে জানাইবার হুকুম হইয়াছে জানাইয়া নিশ্চিন্ত হইয়াছি।” এক ঋণ শোধ না হইতে দানের জন্য আরও ঋণ হইতেছে দেখিয়া একজন শিষ্য অসন্তোষের ভাব প্ৰকাশ ক‘লে বলিয়াছিলেন ;—“ভয় নাই, সব টাকা শোধ হইয়া যাইবে, চুপ করিয়া বসিয়া দর্শন কর । ঈশ্বর জগন্নাথ দেবের দান, এ দান কাহারও। বুঝিবার সাধ্য নাই । আমরা ত আর এখান হইতে যাইতেছি না, একটা পয়সা ঋণ থাকিতেও নড়িব না ।” এই বলিয়া ভক্তমালের ভক্তের জন্য ভগবানের পৃষ্ঠে বোত্ৰাঘাত গল্পটি বলিলন । জগতের মহাপুরুষদের জীবনে ইহা এক অদ্ভুত দৃষ্টান্ত যে অর্থের কোন সংস্থান না থাকিলেও অর্থাভাবে তাহদের কোন কাৰ্য্য বন্ধ হয় নাই । বস্তুতঃ ‘ভগবান, ভক্তের সমস্তভার গ্রহণ এবং যোগক্ষেম বহন করেন’ গীতকারের এই উক্তি ভক্তগোস্বামী মহাশয়ের জীবনে সার্থক হইয়াছে । ‘সংসারাসক্ত মানব মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া পরিশ্রম করে, তথাপি পরিবারের ভরণপোষণেই অক্ষম। অর্থের অভাব কিছুতেই যায় না। আর এই সাধু বিশ্বনাথ বিশ্বেশ্বরের চরণে দেহ মন অর্পণ করিয়া কেবল তঁহারই পূজায় ও সেবায় নিযুক্ত আছেন। ইহার ভাণ্ডার অযাচিতদানে পরিপূর্ণ। ইহার যেমন আয় তেমনই ব্যয়, স্থিতির ঘর শূন্য। এস্থলে দাতা যিনি, ভাণ্ডারীও তিনি, ব্যয়কৰ্ত্তাও তিনি। ভক্ত লীলা দেখিয়া অপূৰ্ব্ব আনন্দ লাভ করিতেছেন।” যিনি