পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৱীতে দৈনিক কাৰ্য্য। ని 14 বুঝিতে পারিলেন, তঁহার উক্তির শর্থ গ্রহণে অসমথ হওয়াতেই এইরূপ বাদানুবাদ আরম্ভ হইয়াছে। তুখন অত্যন্ত বিপত্তিরে সহিত বলিলেন - “আমার ভাব গ্ৰহণ করে তোমাদের মধ্যে এরূপ কাহার অধিকার হইয়াছে ? তোমরা কি হেতু আমার উক্তি না বুঝিয়া এইরূপে সংগ্ৰহ করিতেছি ? উহা দগ্ধ করিয়া ফে’ল ! তোমার। মাতা সংগ্ৰহ করিতেছি। তাহাতে বিষ উদগীরণ করিবে । আমার। তিল তিল করিয়া ধৰ্ম্ম সঞ্চয় করিতেছি আর তোমার। তােহ। কীট হইয়া নষ্ট করিতেছি । * * পুরীতে তাহার ভক্তি বিশ্বাস ও সাধুতাদর্শনে আপামর সাধারণ অত্যন্ত মুগ্ধ হইয়াছিল। ভারতের নানাস্তান হইতে পুরীতে যে অসংখ্য যাত্রীর সমাগম হই তা জটি না বাবার দর্শন ব্যতীত তাহদের তীর্থদর্শন যেন সার্থক হইত না । কিন্তু এরূপ অসাধারণ প্ৰতিপত্তি দর্শনে কতিপয় স্বার্থপর ব্যক্তি বিদ্বেষে জৰ্জরিত হইয়। দারুণ বিষ উদগীরণ করিয়াছিল । ধৰ্ম্মসাধনে কঠোর পরিশমা করিয়৷ পূৰ্ব্ব হইতেই তেঁাহার শরীর নিতান্ত ভগ্ন হইয়া পড়িয়া ছিল । পুরীতে আসিয়া এই অবস্থার আর শু-> বুদ্ধি হয় । কিন্তু ভগ্নশরীরে ও উর্ত্যাহার নিয়মিত কাৰ্য্যের বিরাম ছিল না ; চব্বিশ ঘণ্টা ঘড়ী ধরিয়া সমস্ত কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেন। মল-মূত্র ত্যাগ হইতে আরম্ভ করিয়া অধ্যাধন, কীৰ্ত্তন, পাঠ শ্রবণ, অ্যালাপ, প্ৰসঙ্গ, ঔষধ সেবন, ' খাদ্য গ্ৰহণ, আত্মীয়স্বজনের তত্ত্ব লওয়া, স্তব, আরাধনা, * সাধন, জীবসেবা ইত্যাদি সমস্ত কাৰ্য্যই ঘড়ী দেখিয়া করিতেন । ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থপাঠের ও ভিন্ন ভিন্ন সময় নিদিষ্ট ছিল ; বিভিন্ন প্রকার খাদ্য গ্রহণেরও সময় বাধা ছিল। এমন কি সংবাদপত্রাদির খবর ও রাখিতেন এবং সময় সময় পড়াইয়া শুনিতেন । সময়ের সদ্ব্যব্যবহারের প্রতি এইরূপ সূক্ষ্মদৃষ্টি অল্প লোকেরই দেখিতে পাওয়া যায়।

  • কোন অনুরাগী উদাসীন শিষ্য কথিত ।