পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o/c বন্ধ বাবু আমার নিকটে ঠাঁহার জীবনচরিত পুস্তক পাঠ করা আবশ্যক বলিয়া মনে করিয়াছিলেন। আমি পুস্তকের স্থানে স্থানে ঘটনা সম্বন্ধে ও অন্যান্য বিষয়ে কিছু কিছু পরিবর্তন করিয়া দিয়াছি। : বঙ্ক বাবু এই পুস্তকখানি রচনা ও প্রকাশ করিয়া এ দেশের উপকার করিলেন । ইহা কে না। স্বীকার করিবেন যে, মহৎ লােকের জীবনচরিত পাঠে লোকের বিশেষ উপকার হয়। গোস্বামী মহাশয়ের জীবনী পাঠে যে এ দেশের লোক বিশেষ উপকার লাভ করিবেন, সে বিষয়ে কে সন্দেহ করিতে পারে ? গোস্বামী মহাশয়ের জীবন আলোচনা করিলে, তাহার অসাধারণ মহত্ত্ব অনুভব করিয়া হৃদয় উন্নত ও পবিত্ৰ হয় । ইহা মানব মনের স্বাভাবিক নিয়ম যে, মন যেমন বিষয়ের সংস্পর্শে আসে, সেইরূপ আকার ধারণ করে। গোস্বামী মহাশয়ের নিষ্কলঙ্ক নিৰ্ম্মল জীবন, তাহার সরলতা, সত্যনিষ্ঠা, প্ৰবল ধৰ্ম্মতৃষ্ণা, জীবের প্রতি একান্ত হিতৈষণা, তাহার সুগভীর ও সুপ্ৰশস্ত প্ৰেম-ভক্তি, পরমেশ্বরকে লাভ করিবার জন্য পৰ্ব্বতসমান বাধা বিন্ন উল্লঙ্ঘন, তাহার চরিত্রের এই সকল মহত্ত্ব ও আরও অনেক সদগুণ আলোচনা করিলে লোকে নিশ্চয়ই যথেষ্ট উপকার লাভ করিবেন। কেবল জ্ঞানগর্ভ উপদেশ অপেক্ষা জীবনের দৃষ্টান্ত যে শতগুণে অধিকতর ফলপ্ৰদ এ কথায় কে সন্দেহ করিতে পারে ? বৈজ্ঞানিক বক্তৃতা বা উপদেশ অপেক্ষা, বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের প্রত্যক্ষ পরীক্ষা যে - বিজ্ঞান-শিক্ষা সম্বন্ধে অনেক পরিমাণে সাহায্য করে, তাহা সকলেই জানেন। সেইরূপ নীতি বা ধৰ্ম্মোপদেশ অপেক্ষা, জীবনগত সাধুদৃষ্টান্ত যে অধিকতর উপকারী ইহা নিঃসংশয়ে সত্য ! / গোস্বামী মহাশয়ের চরিত্রের একটী বিষয় চিন্তা করিলে, বিশেষ উপকৃত হইতে হয়। সেটী এই যে, তিনি যখন যাহা সত্য বলিয়া