পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६२ ।। মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । বিষ্য-বাড়ী আসিতেন ; এবং শিষ্য-বাড়ী হইতে বগুড়া আসিয়া শিববাটী নিবাসী শ্ৰীযুক্ত কিশোরী নাথ রায়, হারা ধন বৰ্ম্মণ, এবং গোবিন্দচন্দ্ৰ পাড়ে নামক তিন জন শিক্ষিত-লোকের সহিত মিলিত হইতেন। ইহারা সকলেই একেশ্বর-বাদী ব্ৰাহ্ম বলিয়া পরিচিত ছিলেন । । ইহারা নিষ্ঠা ও ভক্তির সহিত ব্ৰহ্মোপাসনা করিতেন এবং স্ত্রীশিক্ষা, স্ত্রী-স্বাধীনতা, বিধবা-বিবাহ ও পৌত্তলিকতা-পরিবর্জন, সমাজসংস্কার ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা করিতেন । গোস্বামী মহাশয় হঁহাদের সঙ্গে মিশিয়া ইহাদের ব্যবহারে ও কাৰ্য্যে অত্যন্ত আকৃষ্ট হন। তিনি ইহাদের সঙ্গে আলাপাদি করিয়া এবং আত্মচিন্তা বলে গুরুব্যবসায় অন্যায় বলিয়া বোধ করিতে লাগিলেন ; এবং অবশেষে গুরু-ব্যবসায় ছাড়িয়া স্বাধীন ব্যবসায় অবলম্বনে ইচ্ছক হইলেন।” * তখনকার ব্ৰাহ্মসমাজ আর বর্তমান ব্ৰাহ্মসমাজে অনেক প্রভেদ লক্ষিত হয়। অদ্বিতীয় ঈশ্বরের পূজা, তাহার প্রীতি ও প্রিয়-কাৰ্য্য সাধন করাই তদানীন্তন ব্রাহ্মসমাজের প্রধান মত ছিল। বিশ্বাস অনুযায়ী পারিবারিক ও সামাজিক জীবন যাপন করা যে কৰ্ত্তব্য, তখনও সে দিকে ব্ৰাহ্মসাধারণের দৃষ্টি পড়ে নাই। বগুড়ার উক্ত তিনজন সাধুচরিত্র ব্রাহ্মের সঙ্গে গোস্বামী মহাশয়ের পরিচয়, বন্ধুতা ও ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গসুত্রে তীহাদের নিকট ইনি ব্ৰাহ্মসমাজের বিষয় বিশেষ ভাবে অবগত হইলেন। ইতিপূর্বে ব্ৰাহ্মসমাজ সম্বন্ধে যাহা অবগত হইয়াছিলেন, তাহাতে শুনিয়াছিলেন যে, কলিকাতায় একদল ব্ৰহ্মজ্ঞানী যথেচ্ছাচারী হইয়া সুরাপান ও মাংসভোজন করে । ব্ৰাহ্মদের বিরুদ্ধে এইরূপ অলীক-কথা তৎকালে অনেকের ভ্রান্ত-ধারণার কারণ হইয়া --س سس۔ --۔ھ۔ -- ح -- -----

  • বগুড়ার পূর্বতন প্রবাসী পেন্সনপ্রাপ্ত শ্ৰীযুক্ত গোবিন্দচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয়ের পত্ৰ