পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্রার আয়োজন । o۹ সহায়তার জগ৮ অর্থ প্রেরণ করিতেন । তঁহার অনুমতি অনুসারে তঁাহার দানের বিষয় শিস্যগণের গোচর করা হইলে সকলে যথাসাধ্য সাহায্য করিয়াছিলেন । আমরা শুনিয়াছি, চৈত্ৰ, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ এই তিন মাসের মধ্যেই তঁহার নামে প্ৰায় বিশ হাজার টাকা আসিয়াছিল । অতি অল্প ঋণ অবশিষ্ট ছিল, তাহাও ১১শে জ্যৈষ্ঠ শোধ হইয়া যায়। ঋণশোধ হইলে ঐ দিবসই তাহার কলিকাতা যাত্রার বন্দোবস্ত হয় এবং পর দিবস রওয়ানা হইবেন নিৰ্দ্ধারণ করিয়া হোরমিলার কোম্পানিকে তারে ষ্টীমার ভাড়ার বাবদ ষোলশত টাকা পাঠান হয় | আত্মীয়স্বজনের উদ্যোগে যা {ার সমস্ত আয়োজন হইল, কিন্তু বিদেহী আত্মা যে চিরন্তন আত্মীয় প : মাত্মার মহা আহবানে মহাযাত্রার জন্য প্ৰস্তুত হইয়াছেন তাহা সকলেরই অবিদিত রহিল । ঋণশোধ হইলেই যাত্ৰাৱ আয়োজন হইবে ইহাই প্রচারিত হইয় ছিল, কিন্তু ইহা যে অনন্ত পরলোকে মহাপ্ৰস্থান তাহ কেহ চিন্তা করেন নাই । যিনি সংসারের কত ক্লেশ-নিষ্পেষণ-অভাব দুঃখের মধ্য দিয়া, প্ৰলে৷ ভন, উত্থান, পতন ৯২ সংগ্রাম ইত্যাদি বিবিধ অবস্থা অতিক্ৰম করিয়া অবশেষে আনন্দ পূর্ণ, তাপবিহীন, শুদ্ধ জীবন লাভ করিয়াছিলেন, তাহার। ইহলোকের কৰ্ম্মের যে অবসান হইয়াছে তােহ। কাহার ও মনে হয় নাই । সংসারের শত শত নরনারী উত্তপ্ত প্ৰাণ লইয়া গিয়া র্যাহার শীতল সংস্পর্শে বসিয়। জুড়াইয়। অসিত, যাহার হৃদয়স্পৰ্শী উপদেশে। কত আরাম ও আনন্দ লাভ করিত, তাহদের সে অরিামের স্থান যে পৃথিবী হইতে উঠিয়া যাইতেছে সে চিন্তা কাহার ও মনকে অধীর করিয়া তুলে নাই। অনুগত সহচর শিস্যগণও নিশ্চিন্ত হইয়া যাত্রার সকল আয়োজন করিলেন। কিন্তু পরের দিন প্ৰাতঃকালেই তঁহার শরীর অত্যন্ত অবসন্ন হইয়া পড়িল । এইরূপ অবসাদ লইয়া তিনি পূৰ্বাহ ৮ ঘটিকার