পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। #ܘܢ܂ সময় স্থানীয় একজন ডেপুটী মাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে (ইনি সুনেক সময় তাহার নিকট আসিতেন ) অৰ্দ্ধ ঘুণ্টাকাল নানাবিধ ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ করিলেন। ইহাকে কথাপ্রসঙ্গে বলিলেন ;—“কোন সাধুকে বিশেষ না জানিয়া হঠাৎ বিশ্বাস করিবেন না ; সাধুর বেশে অনেক অসাধুও থাকে, চিনিতে না পারিয়া অনেক সময় বিপদে পড়িতে হয়।” আলাপাদির অল্পক্ষিণ পরেই পায়খানায় গিায়। অবসাদের এত বৃদ্ধি হইল যে সংজ্ঞাহীন হইয়া পড়িলেন ; এবং সমস্ত দিন এইভাবেই কাটিল। ক্ৰমে সন্ধ্যা অতীত হইল, রজনীর ঘন অন্ধকারে চতুর্দিক আচ্ছন্ন হইয়া পড়িল ; প্ৰায় আট ঘটিকার পরে "ঠ্যাহার চেতনার সঞ্চার হুইলে চক্ষুরুন্মীলন করিলেন। কিন্তু তখনও শরীর এত দুর্বল যে উঠিয়া আসনে যাইতে পারিলেন না। এই অবস্থায় একটু চা পান করিলেন, এবং চা পান করিতে করিতে উৰ্দ্ধদৃষ্টি করিয়া প্ৰণাম করিলেন ও মুহুর্তে ভগ্নদেহের সঙ্গে আত্মার সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হইয়া গেল । ( সায়াহৰ ৯ ঘটিকা ২০ মিনিট, কৃষ্ণাদ্বাদশী তিথি' ) { আজি আটান্ন বৎসর বয়সে ( সাতান্ন বৎসর এগার মাস ) হিন্দু জাতির মহাতীৰ্থ স্থানে, সাধু, সন্ন্যাসী, উদাসীন, গৃহী, মুমুক্ষু, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী, নির্ধন সকল সম্প্রদায়ের সন্মিলনক্ষেত্রে তিনি ধরাধাম হইতে অবসর গ্ৰহণ করিলেন । পুণ্যক্ষেত্রে তাহার আবির্ভাব হইয়|- ছিল, পুণ্যক্ষেত্রেই তাহার তিরোভাব হইল । হরিনাম শুনিতে শুনিতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, হরিনাম শুনিতে শুনিতেই পৃথিবী হইতে বিদায়গ্ৰহণ করিলেন । এই মহাপ্ৰস্থানে শত শত নরনারীর প্রাণে কি দারুণ আঘাত লাগিয়াছিল, তাহা কিরূপে বুঝাইব ? তাহার মহাপ্রেমিক, মহাভক্ত, মহাবিশ্বাসী আত্মার পার্থিব সংসৰ্গ হইতে বঞ্চিত হইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ ব্যাকুলাত্মা কি গভীর মৰ্ম্মবেদনা, কি মৰ্ম্মাস্তিক ক্লেশ