পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যক্তিগত জীবনের উক্তি । రిr করিতে ভালবাসেন।” রজনী বাব বলিলেন ;—“মতের অনৈক্য আছে বটে, কিন্তু আমি তাহার নিকুট বসিয়া যে উপকার পাই সে সৌভাগ্য হইতে আমি আমাকে কিছুতেই বঞ্চিত করিতে পারি না ।” বস্তুতঃ তিনি মধুচক্রের ন্যায় ছিলেন । পিপাসু মাত্রেই তাহার সঙ্গ পাইয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছে। আমরা তাহাকে ইহলোকে হারাইয়া যে শোক পাইয়াছি আমাদের মাতৃশোক, ভাৰ্য্যা শোক, পুত্ৰশোক কিছুই তাহার সমতুল্য নহে। এই রুগ্ন অবস্থায় তাহার কথা ভাবিয়া প্ৰাণে । যে ভাবের সঞ্চার হইতেছে আমি সুস্থ থাকিলেও তাহ লিখিয়া জানাইতে পারিতাম না ।” “আমি নানাস্তানে তাহার সঙ্গে ঘুরিয়াছি। তঁহার সম্বন্ধে যাহা জানি তাহ সংক্ষেপে লিখিতে পারিব না । যে ঘটনাপুঞ্জ প্রবল স্রোতের ন্যায় হৃদয় প্লাবিত করিয়া প্ৰবাহিত হয় তাহাকে বিভক্ত করা বা বিচ্ছিন্ন করা আমার সাধ্যায়ত্ত নহে । নীতি, ধৰ্ম্ম, ব্ৰহ্মজ্ঞান, যোগ ও লীলা তিনি সাধকের এই পাঁচ অবস্থার কথা বলিয়াছেন এবং ইহার প্ৰত্যেক অবস্থাই তাহের জীবনে এমন উজ্জ্বল ভাবে দেখাইয়া গিয়াছেন যে তঁহাকে না দেখিলে আমরা সে সমস্ত উচ্চ ভাবের কল্পনাও করিতে পারিতাম না । তিনি আমাদিগকে ধৰ্ম্ম-বিদ্বেষের হস্ত হইতে এমনই উদ্ধার করিয়াছেন যে আমরা হীন হইয়াও জগতের সমস্ত ধৰ্ম্মকে আপনার বলিয়া গ্ৰহণ করিতে শিখিয়ছি । তিনি এইরূপে ধৰ্ম্মবিদ্বেষের একটা বিষম জবালা হইতে আমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন । র্তাহাকে হারাইয়া আমরা সৰ্ব্বস্ব হারাইয়াছি। এখন ইহকাল অপেক্ষা পরকালই আমাদিগের অধিকতর প্ৰিয় ।” M