পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । উপদেশাবলী, ** “শাস্ত্ৰে আছে যারা পৃথিবীর শক্তির উপর নির্ভর করে তারা অন্ধ । কেবল একমাত্ৰ সহায় দীননাথ, কাঙ্গালি-শারণ ; তিনিই নিরাশ্রয়ের আশ্রয়। তাই বলি, যদি তাকে বিপদে সম্পদে ডাকতে না পারি। তবে আমরা দুঃখী। যদি প্ৰাণের মধ্যে সৰ্ব্বদা দেখে বলতে পারি, “এই ত৷ মা ; দেখা হে জগৎবাসী, আমার প্রাণের মধ্যে মা আনন্দময়ী বিরাজ করছেন” ; তবেই ত সুখী হ’ব, নইলে যদি ফাথায় ব’লে প্ৰাণে না পাই, তবে আমার মত দুঃখী কে ? এই জন্য ভালরূপে পরীক্ষা করে” দেখব মা প্ৰাণের মধ্যে বিরাজ করছেন কি না ? পুস্তকে কি উপদেশে • শুনে নয়। আমি নীচ, অধম, সামান্য তবু আমার প্রভু পরমেশ্বর এ কথা ভাবলে আনন্দের আর সীমা থাকে না । আমি কেমন ক’রে “ন’ বলব ? খুব দেখেছি, নিশ্চয় করেছি, আমার প্রভু পরমেশ্বর। সত্য সত্য বলি, আমি যেমন ‘আমার’ ব’লে তঁাকে বলতে পারি। এমন আর কা’কেও পারি না । আপনাদের সকলের নিকট আমি ভিক্ষা করি, আপনার আশীৰ্ব্বাদ করুন, আমার প্রভুকে যেন আমি প্রেম কবুতে পারি। তাকে কেমন করে ভক্তি করুব কিছুই জানি না। * পূৰ্ব্ববাঙ্গলা ব্রাহ্মসমাজে প্রদত্ত উপদেশ, প্রাচীন ধৰ্ম্মতত্ত্বে প্রকাশিত প্ৰবন্ধ ও নানা ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর হইতে সংগৃহীত। এই সমস্ত উপদেশে তাহার সম্যক । পরিচয় পাওয়া যায়, এ জন্য কিঞ্চিৎ সংগৃহীত হইল। বাহুল্য ভয়ে সমস্ত উপদেশ উদ্ধত না করিয়া আমরা কেবল আংশিক উদ্ধত করিলাম।