পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তরে উপদেশ রাগ করিয়া কোন কথা বলিলে তাহাতে পরের উপকার হয় না । বলিতে হইলে কেবল উপকারুর দিকে লক্ষ্য রাখিয়াই বলিতে হইবে ख्रिश्न-वैश्नि। পরম ধৰ্ম্ম, হিংসা অর্থ হনন ইচ্ছা । হানন অর্থে আঘাত বুঝায় । কোন ব্যক্তির প্রাণে আঘাত না লাগে এরূপভাবে চলিতে হইবে । কাম ক্ৰোধিও হিংসার চ্যায় অপকার করে না ।” "অস্তঃকরণ হইতে হিংসা নষ্ট হইলে হাজার হাজার ছারপোকা। প্রভৃতির মধ্যে থাকিলেও ( যদি সরল মনে তাহাদিগকে দয়া করা যায়) তাহারা দংশন করিবে না। মনে একটু হিংসা থাকিলে দংশন করিবে ।” “সাধুগণ অরণ্যে ব্যাস্ত্ৰ প্ৰভৃতি হিংস্র জন্তুগণ মধ্যে বাস করেন, তঁহাদের মন্ত্র তন্ত্র কি বুজরুকি নাই। কেবল অহিংসাই কারণমনে কিছু মাত্র হিংসা না থাকিলে ব্যাভ্রাদিও আপন হইয়া যায় ।” ক্ৰোধ——“ক্ৰোধ উপস্থিত হইলে কথা না বলিতে চেষ্টা করিবে । যাহার প্রতি ক্ৰোধ হইতেছে, তাহার সম্মুখ হইতে চলিয়া যাইবে । কেহ কোন কথা বলিলে অথবা অন্য কারণে ক্ৰোধ হইবার লক্ষণ । বুঝিতে পারিলে নির্জনে বসিয়া নাম করিবে ।” অভিমান—“প্রশ্ন ;--অভিমান নষ্ট হয় কি সে ? উত্তর ; -নিজকে সকল অপেক্ষা হীন জানিতে হইবে । যতদিন পৰ্য্যন্ত নিজকে কাঙ্গাল করিতে না পরিবে ততদিন কিছুই হইল না। মুটে মজুর ভাল মানদণ্ড সকলকেই ভক্তি করিতে হইবে। সকলের নিকট নিজকে ছোট মনে করিতে হইবে । অভিমানের ভাব অনুমাত্ৰ মনে প্ৰবেশ করায় বড় বড় যোগীর পতন হইয়াছে । অভিমান ভয়ানক শক্ৰ ।” ‘কাম ছাড়িব, ক্ৰোধ ছাড়িব, লোকে সাধু বলিবে এ অভিমান সকলের অপেক্ষা শক্রি ।” () “যতদিন ইন্দ্ৰিয় জয় না হয় ততদিন অভিমানে কি অনিষ্ট করে,