পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । দিন দেখিলেন কে যেন তাহার বাক্স হইতে সমস্ত টাকাকড়ি চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছে। তিনি বাসায় ঠিক খাইতেন ; খাইলে পয়সা দিতে হইবে, কিন্তু হাতে একটিীও পয়সা ছিল না । এজন্য বাস। হইতে বাহির হইয়া গিয়া আর ফিরিলেন না, গোলদীঘির ধারে ও পথে শুইয়া বসিয়া, কখন কখন সমস্ত দিন রাত্রি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়া দিন কাটাইতে লাগিলেন। দিবসে অনাহারে ঘুরিয়া ঘুরিয়া বাসস্থান অনুসন্ধান করেন, ক্ষুধা অসহ্য হইলে অঞ্জলি পুরিয়া জল পান করেন, আর রজনীতে কলেজের বারাণ্ডায় শয়ন করিয়া অতি কষ্টে যাপন করেন, এই ভাবে কয়েকদিন কাটিয়া গেল ; কিন্তু তবুও কোথায়ও কোনরূপ বন্দোবস্ত করিতে পারিলেন অবশেষে একজন সুবিখ্যাত দয়াবান * ব্যক্তির গৃহে সাহায্য প্ৰাখী হইয়া উপস্থিত হইলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ইনি ইহার গৃহে স্থানপ্রাপ্ত কতিপয় ভদ্র-সন্তানের ব্যবহারে নিতান্ত ব্যথিত হইয়া এরূপ প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে আর কাহাকেও গৃহে স্থান দিবেন না। সুতরাং তঁহাকে ক্ষুব্ধ-মনে ফিরিতে হইল। তৎপর মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয়ের সাহায্যপ্ৰাৰ্থ হইয়াও বিফল-মনোরথ হইলেন । কতিপয় ব্যক্তির দুৰ্ব্ব্যবহারে ইহারও মনের অবস্থা এরূপ হইয়াছিল যে এই বিপন্ন যুবকের প্রকৃত অবস্থা অন্বেষণ না করিয়া তাহার আবেদন হস্তগত হওয়া মাত্ৰ ছিড়িয়া ফেলিলেন । এইরূপে পুনঃ পুনঃ প্ৰত্যাখ্যাত হইয়াও তাহার মনে নিরাশা জন্মিল না। তিনি বগুড়াস্থ ব্ৰাহ্মদের মুখে শুনিয়াছিলেন, “ঠাকুরবাবু অত্যন্ত মহৎ লোক।” তজ্জন্য তঁহার প্রতিকুল ব্যবহারেও তৎপ্রতি বিরক্তি না জন্মিয় তাহার মনে হইল, “ইনি বহু লোকের প্রবঞ্চনায় বিরক্ত

  • ইনি সম্ভবতঃ বিদ্যাসাগর মহাশয় ।