পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তরে উপদেশ। । * 'నినd; হিন্দু ছিলাম, হঠাৎ সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করলাম, অজ্ঞাতসারে বৈদান্তিক হইলাম। পরে ব্রাহ্মসমাজে গেলাম, প্রচার করিলাম, চিকিৎসা করিলাম, আবার ঘুরিয়া ফিরিয়া বৰ্ত্তমান অবস্থায় আসিয়া পড়িয়াছি। নিজের ইচ্ছায় কিছুই হয় নাই।” “যখন চিকিৎসা ক তিমি মনে হইত এই ঔষধ দিলে ঐ রোগের উপশম হইবে । ক্ৰমে দেখি তাহ হয় না, এইরূপ দেখিতে দেখিতে বুঝিলাম ঔষধ কিছু নহে, ভগবানের কৃপা চাই। প্রচার করিতে গেলাম, প্রথম প্রথম যেখানে যাইতাম সমস্ত লোক একবাক্যে শুনিত, সাহায্য করিত, ক্ৰমে দেখি লোকের সে ভাব নাই ; আয় আমার কথায় কিছু হয় না । তখন বুঝিলাম আমার শাস্ত্ৰজ্ঞান ও বক্তৃত্যুর ' ক্ষমতা কিছুই নাহে ; ভগবৎ কৃপাই সার । এইরূপে আঘাত খাইয়া খাইয়া এখন বুঝিয়াছি আমি কিছুই নয়, অসারের অসার, ভগবানই সৰ্ব্বময়, ঐহিক পারিত্রিক বিধাতা ।” “লোকালয়ে থাকিয়া ভগবৎ ইচ্ছার অধীন হওয অতিশয় কষ্টকর। ; এজন্য পাহাড়ে গিয়া থাকিতে পারি কি না প্রার্থনা করিলাম । উত্তর পাইলাম ;-দত্ত বৃস্তুতে দাতার কোন অধিকার নাই ; পাহাড়ে যাওয়া কি নগরে থাকা ইহা যখন তুমি ভাব, তখন আমাকে আত্ম দান করা নাই।” পুনঃ পুনঃ প্রার্থনা করিলে এক মাস পরে উত্তর পাইলাম, “পুনর্বার তোকে গ্ৰহণ করিলাম, সাবধান, লুকোচুরি করিয়া ধৰ্ম্ম হয় না ; আমার বস্তু আগুনে ফেলিব, সুখে রাখিব, দুঃখে রাখিব।” “নিজে কিছুই স্থির করিতে নাই। ভগবৎ ইচ্ছার উপর নির্ভর করিয়া থাকিতে হইবে। নিজের হাতে ভার লইলেই কষ্ট । •যে ঘটনা ভগবৎ ইচ্ছায় হয়। সে ঘটনার বিশেষ প্রয়োজন আছে। ভগবান যখন যে ভাবে রাখেন তাহাতেই আনন্দ করিতে হইবে। আমার