পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

尊 নিজের পছন্দ করিবার কিছুই নাই। প্ৰভু, কাষ্ঠের জুওলী ফ্লেমিন কুহকে নাচায় আমাকে সেইরূপ কর। তুমিই জীবনের আধার।” স্বনাধন ও কপা—“কৃপার কথা অনেক পরে। যতক্ষণ আপনার মান অপমান সুখ দুঃখ কাম ক্ৰোধ এ সমস্ত আছে ততক্ষণ নিজের চেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। এই চেষ্টার নামই সাধন। আমি পারি না। এ সকল কথা কেবল ভাবুকত মাত্র।” চতুরঙ্গ সাধন—“প্ৰথম স্বাধ্যায় অর্থাৎ সদ্যগ্রন্থ পাঠ, ও নাম জপ, দ্বিতীয় সৎসঙ্গ, তৃতীয় বিচার অর্থাৎ সৰ্ব্বদা আত্ম পরীক্ষা। আত্ম প্ৰশংসা ভাল লাগে কি বিষবৎ বোধ হয়, পরনিন্দ প্রীতিকর ঐ অপ্রীতিকর বোধ হয়, অন্তরের ধৰ্ম্মভাবের প্রতিদিন হ্রাস কি বৃদ্ধি হইতেছে এই বিচাৱ সৰ্ব্বদা প্রয়োজন। চতুর্থ দান। শাস্ত্রকারগণ বলিয়াছেন দান শব্দের অর্থ দয়া, কাহার। প্ৰাণে কোনরূপ ক্লেশ না দেওয়া ; শরীর দ্বারা, বাক্য দ্বারা, বা অপর কোন উপায়ে কাহারও প্ৰাণে ক্লেশ দিলে দয়া হয় না । বৃক্ষ, লতা, কীট, পতঙ্গ, পশু, পক্ষী, মনুষ্যাদি সৰ্ব্বজীবে দয়া কৰ্ত্তীর্য । ধৰ্ম্ম সাধকের প্রতিদিন এই চতুরঙ্গ সাধন বিধেয় । কেহ কেহ ইহার সঙ্গে তপস্যা অর্থাৎ কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়, ও জ্ঞানেন্দ্ৰিয় সকলের শাসন অভ্যাস প্রয়োজন বলিয়াছেন ।” ভিতরে প্রবেশ-“শরীরের প্রধান যন্ত্র জিহবা । জিহবাকে বশে রাখিলে সমস্তই বিশ হয়। যতদিন চক্ষু কৰ্ণ ইন্দ্ৰিয়গণ বহির্বিষয়ে আকৃষ্ট হয় ততদিন শরীর ছাড়াইয়া ভিতরে প্রবেশ করা যায় না । ভিতরে প্রবেশ না করিলে কিছুতেই শরীর ভুলিতে পারা যায় না। কোন উপায়ে একবার ভগবানকে দর্শন করিলে তখন শরীরের প্রতি দৃষ্টি থাকে না, সহজেই শরীর বিস্মৃত হওয়া যায়। কিন্তু এ অবস্থা সকলের ঘটে না । এ জন্য কাহাকেও ভাল বাসিতে হইবে । ভালবাসা