পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোক্তরে উপদেশ । ' ." లపళ অকৃত্রিম ও নিঃস্বাৰ্থ হইবে। এই ভালবাসা লাভ করিবার জন্য অহিংসা অভু্যাস করিতে হইবে। কাহাকে ও কষ্ট দিব না, কেহ। আমাকে প্রহার করিলে, গালি দিলে, এমন কি সৰ্ব্বনাশ করিলেও তাহার অমঙ্গল কামনা করিব না, কায়মনোবাক্যে ইহা অভ্যাস করিতে হইবে। এইরূপে দ্বেষ হিংসা নষ্ট হইলে প্ৰাণে ভালবাসা আসে। সেই ভালবাসাকে কোন স্থানে অৰ্পণ করিয়া, তাহাকে ভাবিতে ভাবিতে সমস্ত বিস্মৃত হওয়া যায়। এই অবস্থা হইলে সহজে ভগবানকে লাভ করা যায়। একটি মনুষ্যকে বিশেষ রূপে ভালবাসা ধৰ্ম্ম সাধনের সর্ব প্ৰধান অঙ্গ ।।’’ সেনবা—“অহঙ্কার নষ্ট করিবার উপায় জীবের সেবা। পশু পক্ষীরও পায়ে নমস্কার করিতে হইবে । এমন কি বিষ্ঠার পোকাকেও ঘূণা করিবে না। যেমন নক্ষত্র ছুটিয়া পড়ে, তেমনি অহঙ্কারে যোগীদের হঠাৎ পতন হয় ।” “বৃক্ষ সেবা, পশু পক্ষী সেবা, পিতা মাতা সেবা, পতি সেবা, সন্তান সেবা, প্ৰভু সেবা, রাজা সেবা, ভূত্য সেবা, পত্নী সেবা এই ভাবে করি।-- লেই সেবা ; নতুবা সেবা নাম করা উচিত নয় ।” “জাতি ধৰ্ম্ম নির্বিশেষে সমস্ত ভক্তকে সেবা করিবে । পিতা মাতাকে 'সাক্ষাৎ দেবতা জ্ঞানে পূজা করিবে । স্ত্রীকে ভগবানের শক্তিরূপে দেবীরূপে শ্রদ্ধা করিবে । ভরণ পোষণ করিবে, রক্ষণবেক্ষণ করিবে। ন্যে ব্যক্তি পত্নীকে সাক্ষাৎ দেবীরূপে না দেখে, , তাহার গৃহের শান্তি ও মঙ্গল হয় না। স্ত্রীকে বিলাসের সামগ্ৰী কি দাসী বলিয়া মনে করিবে না ।” * 』 “সর্বজীবে দয়া করিবে । বৃক্ষ লতা পশু, পক্ষী কীট পতঙ্গ মানব সকলকে দয়া করিবে, কাহারও মনে ক্লেশ দিবে, না ।”