পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তরে উপদেশ। * *లిసిసా পরাস্ত হই, তাহাও অপরাধী নহে। যতদিন ত্ৰিগুণের অধীন স্থাকিব, ততদিন গুণ অনুসারে আমাকে বাধ্য হইয়া চলিতে হইবে।” “যদি ভগবৎ নাম অবলম্বন থাকে, ক্ৰমে ত্ৰিগুণ নষ্ট হইয়া শুদ্ধ আত্মতত্ত্ব প্ৰকাশ পাইতে থাকিবে।” সাধু,-“যাহার নিকটবৰ্ত্তী হইলে হৃদয়নিহিত ধৰ্ম্মভাবগুলি প্ৰস্ফুটিত হয়, আপনা হইতে ভগবানের নাম রসনায় উচ্চারিত হয় এবং পাপমতি সকল লজ্জিত হইয়া পলায়ন করে তিনিই সাধু।” দান-“যে সৰ্ব্বদা যান্ত্রিীড়া করে, খোসামোদ করে, সে দানের পাত্ৰ, নহে। ভয়, স্নেহ, লজ্জা, মান, বংশমৰ্য্যাদা, প্ৰত্যুপকার প্রত্যাশা, স্বৰ্গকামনা, পাপমোচন, পরকালের জন্য দান প্রকৃত দান নিয়ে। যেমন পিপাসা হইলে অতি ব্যগ্রতার সহিত লোকে জলপান করে, সেইরূপ প্ৰকৃত দাতা দানের পাত্ৰ দেখিলে দান করিতে ব্যগ্র হন । দেহািরখ-“রথ মনুষ্য দেহ, ইহার তিনতালা ; উপর তালায় । সহস্রদল পদ্মে শ্ৰীশ্ৰীবামন দেব। অর্থাৎ জগন্নাথ বিরাজ করেন, মধ্য তালায় সমস্ত দেবদেবী এক এক পদ্মে ও কুটীরে বিরাজ করেন, নীচের তালায় কাম ক্ৰোধ লোভ মোহ মদ মাৎসৰ্য্য রিপুগণ তাহাদের পরিবারগণের সহিত বাস করে। বামনদেব রথে উঠিবামাত্ৰ চারিদিকে শঙ্খ ঘণ্টা বাজিতে থাকে ; নীচের তলায় সিড়ি পড়ে, চারিদিক হইতে ভক্তমণ্ডলী আসিয়া ভিড় করেন । কাম ক্ৰোধগণ সপরিবারে পলায়ন করে । তখন সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ তিনগাছি প্ৰকাণ্ড কাছি বাধিয়া রথ টানা হয়। সুখদুঃখময় কালচক্র ঘুরিতে ঘুরিতে ঠাকুরমন্দিরের নিকটস্থ হইলে কাছি খসিয়া যায় ।” *@ অন্যান্ধকের ত্ৰিবিধ অবস্থা—“প্ৰত্যেক সাধকের তিনটী অবস্থার ভিতর দিয়া যাইতে হয়। ব্ৰহ্ম, আত্মা, ভগবান ; প্রথম অবস্থায় মনুন্য