পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ) প্ৰকাঙ্ক- সাহায্যই হয় না, বরং ভয়ানক অনিষ্ট হয়, নানা প্রকার কল্পনা আসে ; র্যাহারা শরীরের জন্য মাদক ব্যবহার করেন, কাৰ্য্যসিদ্ধি হইলে তঁাহারা উহাকে ঔষধের মত পরিত্যাগ করেন । প্রত্যাদেশ—“প্রকৃত প্রত্যাদেশ ভগবৎ আদেশ। বিশেষ চিত্তশুদ্ধি না হইলে ভগবৎ আদেশ শুনা যায় না । ভগবৎ আদেশ বিবেক নহে, মনের ভাব নাহে , ভগবৎ আদেশ আত্মাতে শ্রবণ করা যায় । প্রকৃত প্ৰত্যাদেশ জীবনে দুই একটীর অধিক হয় হয় না।” । “অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম ইহা বুদ্ধদেব শুনাইয়া জগতকে জাগ্ৰত করিয়াহীেন। শ্ৰীচৈতন্য জীবে দয়া নামে ভক্তি ইহা শুনাইয়া জগৎকে মত্ত * কুঁয়াছেন। খৃষ্ট ভগবৎ সেবাতে জীব উদ্ধার হয়, একজন দুই প্রভুর সেবা করিতে পারে না, শুনাইয়াছেন । এইরূপ যিনি যে প্ৰত্যাদেশ শ্ৰবণ করেন তাহা গৃহের কোণে লুক্কায়িত থাকে না । তাতু জগৎময় ব্যাপ্ত হয় । ঋষিগণ যে প্ৰত্যাদেশ শুনিয়াছিলেন তাহাই উপনিষদরূপে বৰ্ত্তমান r প্রত্যাদেশ সত্য, পতিতপাবন, জ্বলন্ত উৎসাহিপূর্ণ, মধুর ; তাহার সহিত কাহারও অনৈক্য হয় না।” 鲁 মায়া৷-“বাস্তবিক মায়া কি ? যদি বল সংসারে পরমসুখে আছি, ইহা ছাড়িয়া কোথায় যাইব ? সংসারে কে তোমাকে ভালবাসে ? একটু বিচার করিয়া দেখ । অধিকাংশ স্থানে ভয়ানক প্ৰতারণা । কোন স্থানে স্ত্রী স্বামীকে কৃত্ৰিম প্ৰণয় দেখাইয়া অন্যকে ভালবাসিতেছে, কোন স্থানে স্বামী স্ত্রীকে প্রতারণা করিয়া অন্য নারীতে আসক্ত, কোন স্থানে পুত্ৰ পিতাকে বধ করিয়া বিষয় লইতেছে, কোন স্থানে পিতা পুত্রকে বঞ্চিত করিয়া অন্তকে সুখী করিতেছেন। তৱে সংসারে মধ্যবিত্ত লোকদিগের মধ্যে, কৃষকদিগের মধ্যে কিছু কিছু ভালবাসা ও ভক্তি দেখা যায়। যেখানে অর্থের সম্বন্ধ সেখানে