পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মমত-পরিবর্তন । २१ অতীত হইলে এক দিন বগুড়ার ব্রাহ্মদের কথা তাহার মনে পড়িল । তথায় যে কয়েকজন ব্রাহ্মের সংস্পর্শে আসিয়া তিনি নিজকে পবিত্ৰ মনে করিয়াছিলেন, আজ এই দুদিনে তঁহাদের প্রতি তাহার শ্রদ্ধা“অনুরাগ শতগুণে বৰ্দ্ধিত হইল। তাঁহাদের চরিত্ৰ দেখিয়া ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতি তাহার যে বিরুদ্ধ-ভা ঋ ছিল ইতিপূর্বে তাহার মূল শিথিল এবং তৎসঙ্গে একটী শ্রদ্ধার ভাব উদিত হইয়াছিল মাত্ৰ ; কিন্তু উহাতে কোন পরিবর্তন সংঘটিত করে নাই। আজি উহার ফল প্ৰত্যক্ষ হইল ; র্তাহারা যে “তঁহাকে কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজে যাইয়া উপাসনায় যোগ দিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন আজ তাঁহাই তাহাকে উৎসাহ যুক্ত করিলা । ব্ৰাহ্মসমাজ সম্বন্ধে তাহার ভ্রান্ত ধারণার কথা পূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে । তিনি শুনিয়াছিলেন, ‘ব্ৰহ্ম-জ্ঞানীরা তবলা বাজাইয়। গান করে, বেদ পাঠ করে, অবশেষে সুরাপান ও মাংস ভোজন করিয়া র্তাহাদের কাৰ্য্য শেষ করে।” এইরূপ বিরুদ্ধ ও ভ্ৰান্ত-সংস্কার সত্ত্বেও কেবল একদিকে আন্তরিক অশান্তি এবং তােহা দূরীকরণের উপায়ান্তরের অভাব, অন্য দিকে বগুড়াস্ত ব্ৰাহ্ম-বন্ধুদের অনুরোধ ও তাহদের শুদ্ধচরিত্রের স্মৃতি তাহাকে ব্ৰাহ্ম-সমাজে যাইতে প্ররোচিত করিল । সে দিন বুধবার ছিল । তিনি সায়ংকালে ব্ৰাহ্ম-সমাজে গমন করিলেন। “তথাকার আলোক মালা, তানলয়যুক্ত মধুর সঙ্গীত, ভক্তিভাবে স্তোত্ৰ পাঠ, বহুসংখ্যক লোকের গম্ভীর ভাব, দর্শন ও শ্রবণ করিয়া অকস্মাৎ ব্ৰাহ্মসমাজকে তাহার নিকট স্বৰ্গধাম বলিয়া মনে হইল ; এবং ব্ৰাহ্মসমাজ সম্বন্ধে তাহার যে ভ্ৰান্ত-ধারণা ছিল উহা সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হওয়ায় তৎপরিবর্তে শ্রদ্ধা-সমন্বিত উদার-ভাব আসিয়া তাহার চিত্তকে অধিকার করিল। ঐ দিন প্ৰধান আচাৰ্য্য মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয় বেদীতে