পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মমত-পরিবর্তন । QS দ্বারা সিদ্ধ-জীবন প্ৰাপ্ত হন। র্তাহার তখনকার তপস্যার বিবরণ শুনিলে শরীর কণ্টকিত হয়। সেই তপস্যার ফলস্বরূপ তিনি অনেক বিষয়ে নব-আলোক প্ৰাপ্ত হইয়া গিরি-শৃঙ্গ হইতে ১২৬৫ সনের ১লা অগ্রহায়ণ "কলিকাতায় নামিয়া, আসেন, এবং পুনরায় ব্রাহ্মসমাজের বেদীতে সমাসীন হইয়া অগ্নিময়ী ভাষাতে সেই সকল তত্ত্ব প্ৰকাশ করিতে থাকেন ? র্তাহার হৃদয়স্থ অগ্নি হৃদয়ে হৃদয়ে প্ৰক্ষিপ্ত হইয়া অগ্নি প্ৰজ্বলিত করিতে আরম্ভ করে ; ব্ৰাহ্মসমাজে এক নব শক্তি ও নব-উৎসাহ দেখা দেয় । বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় যে সময়ে প্রথমে কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজে অর্থাৎ আদি ব্ৰাহ্মসমাজে গিয়াছিলেন তাহার কিছুদিন পূর্বে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ হিমালয় হইতে ফিরিয়া আসিয়াছেন । গোস্বামী মহাশয়ের সংস্কৃত কলেজের সহাধ্যায়ী শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিয়াছেন ঃ—“র্তাহার ( মহৰ্ষির ) । এক দিনের উপদেশ শুনিয়া আমরা সাত দিন মন স্থির রাখিতে পারিতাম না । হৃদয়ে কি নবভাব জাগিত, চক্ষে কি নূতন জগত আসিত।” * মহৰ্ষির জীবন্ত উপদেশে গোস্বামী মহাশয়ের স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম তৃষ্ণ-যাহ বেদান্তের শুষ্ক-তর্কে সমাচ্ছন্ন হইয়াছিল, তাহ সহজেই জাগ্রত হইয়া উঠিল । তিনি পুনরায় ধৰ্ম্মসাধনায় প্ৰবৃত্ত হইলেন । তিনি বলিয়াছেন ঃ—“এই বক্তৃতা শ্রবণ করিয়া আমার পূর্বকার ভক্তি-ভাব স্মৃতি পথে উদিত হইল। এতদিন যে ইষ্ট-দেবতার পূজা করি নাই তজ্জন্য প্ৰাণ আকুল হইয়া উঠিল । সমস্ত শরীর গলদঘৰ্ম্ম ও কম্পিত হইতে লাগিল। অশ্রু-জলে হৃদয় ভাসিতে লাগিল, চতুর্দিক শূন্য দেখিয়া অন্তরে দয়াময়ের নিকট এই প্রার্থনা করিলাম যে, “দয়াময় ঈশ্বর, প্রাচীন হিন্দুধৰ্ম্মে আমার বিশ্বাস হয় না, অন্য কোন ধৰ্ম্মেও

  • রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ।