পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہ/م বুঝিয়াছিলেন, অসঙ্কোচে ভাবী ফলাফল বিচার বিরহিত হইয়া তাঁহাই গ্ৰহণ করিয়াছেন। সুখ কি দুঃখ, সম্পদ কি বিপদ, প্ৰশংসা কি নিন্দ, দলের লোকের সন্তোষ কি অসন্তোষ কোন বিষয়ের প্রতি ভ্ৰক্ষেপ না করিয়া সত্যের সূরল পথে চলিয়াছেন। তিনি চিরদিন যাহা সত্য বিশ্বাস করিয়াছেন সেই পথেই অগ্রসর হইয়াছেন । • বামে বা দক্ষিণে বিচলিত হন নাই, লোকের খাতিরে কখনও পশ্চাৎপদ হন নাই । পূৰ্ব্বসংস্কারের সহিত মিলিতেছে কি না ইহা বিচার করিতে বসেন নাই ; যখন যাহা সত্য বলিয়া বিশ্বাস হইয়াছে, তাহাই নিৰ্ভয়ে, অসন্ধু চিতচিত্তে আলিঙ্গন করিয়াছেন । ভগবানের সত্য বা ভগবানের বাণী বলিয়া যখন যাহ। তাহার নিকটে প্রতীত হইয়াছে, তাহাই তিনি শিরোধাৰ্য্য করিয়াছেন । “যে যায় যাক, যে থাকে থাক, শুনে চলি তোমারি ডাক,” গোস্বামী মহাশয়ের জীবন সম্বন্ধে এই বাক্যটীি যেমন খাটে, সেরূপ জগতে অল্প লোকের পক্ষেই দেখা যায় । এইরূপ সরল, সত্যনিষ্ঠ লোক এ সুংসারে বিরল । তিনি সত্যের জন্য অনেক স্বর্গ বিসজ্জন করিয়াছেন। পাঠক, এই জীবনী-পুস্তকে তাহার অনেক পরিচয় প্ৰাপ্ত হইবেন । বঙ্ক বাবু গোস্বামী মহাশয়েয় জীবনবৃত্তান্ত লিখিবার জন্য অনেক অনুসন্ধান করিয়াছেন । যে সকল লোকের নিকট গমন করিলে, অথবা র্য[হাদিগকে পত্ৰ লিখিলে, গোস্বামী মহাশয় সম্বন্ধে কোন সংবাদ প্রাপ্ত হইবার সম্ভাবনা, তদ্বিষয়ে তিনি লেশমাত্ৰ ক্ৰটী করেন নাই। জীবনচরিত লেখকের যে সকল গুণ থাকা আবশ্যক, তাহ বন্ধ বাবুতে যথেষ্ট আছে। তন্মধ্যে একটি বিশেষ গুণ এই যে, র্যাহার জীবনী লিখিতে হইবে, তাহার প্রতি ভক্তি । জীবনচরিত লেখকের দ্বিতীয় গুণ, একান্ত সত্যনিষ্ঠ। যাহার জীবনবৃত্তান্ত লিখিতে হইবে, তাহার