পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ඓර ' মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । আমার বিশ্বাস নাই, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমার ন্যায় হতভাগ্য বোধ হয় পৃথিবীতে আর কেহ নাই । যখন পৌত্তলিক ধৰ্ম্মে বিশ্বাস ছিল, তখন ' ইষ্টদেবতার পূজা করিয়া অপাের আনন্দ ভোগ করিতাম, এখন “তাহী হইতে ও বঞ্চিত হইয়াছি। এইমাত্ৰ শুনিলাম, তুমি অনাথের নাথ, প্রভো, আমি তোমার শরণাপন্ন হইলাম। তুমি আমাকে রাখি, আর আমি কোথায়ও যাইব না, তোমার দ্বারে পড়িয়া রহিলাম” । * এইরূপ কাতর প্রার্থনায় তিনি শান্তি পাইলেন ; তঁহার মনে হইল, প্রার্থনার ন্যায় শান্তিলাভের সহজ উপায় আর নাই । তিনি মহৰ্ষি দেবেন্দ্রনাথকে মনে মনে ধৰ্ম্ম জীবনের গুরু-পদে বরণ করিয়া লইলেন । তাহার তৎকালীন অবস্থার এইরূপ পরিবর্তনে র্তাহার মনের স্বাভাবিক উদারতা ও অনাবিল ভাব বিশেষ সহায় হইয়াছিল । স্বচ্ছ দর্পণে যেমন সহজে বস্তুর প্রতিবিম্ব পড়ে, অনাবিল মনে তদ্রুপ সহজে সত্য প্রতিভাত হয় । এইজন্য জ্ঞানি-গণ পুনঃ পুনঃ ধৰ্ম্মার্থীকে নিৰ্ম্মল-চিত্ত হইতে উপদেশ দিয়া থাকেন, এবং র্যাহারা নিৰ্ম্মলাত্মা তাহাদিগকেই ধৰ্ম্মশ্রহণের অধিকারী মনে করেন । মনের অনাবিল ভাব ও উদারতা সৰ্ব্বদা তাহাকে সত্যের জন্য উন্মুখ না। রাখিলে, র্তাহার ন্যায় কৌলিক-সংস্কার-যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কঠিন হইত। বস্তুতঃ মতের গণ্ডী কোন দিনই তঁহাকে আবদ্ধ করিয়া রাখিতে পারে নাই ; ধৰ্ম্ম-বুদ্ধিতে যখন যাহা সত্য মনে করিয়াছেন, বিনয় ও শ্রদ্ধা সহকারে অবনত মস্তকে তাহারই অনুসরণ করিয়াছেন ; এবং অকুষ্ঠিতচিত্তে পূৰ্ব্বসংস্কার বর্জন করিয়াছেন । সর্বপ্রকার সংস্কার ও দেশাচার অতিক্ৰম করিতে সমর্থ হওয়া সহজ ধৰ্ম্মানুরাগেরই পরিচায়ক । ,

  • আত্ম বিবরণ ।