পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । আর এই যুবকদলসহ, তিনি নিয়মিতরূপে ব্ৰাহ্মসমাজের উপাসনায় গমন করিতে আরম্ভ করিলেন । কিন্তু কেবল সপ্তাহান্তে উপাসনায় গিয়াই তাহার ধৰ্ম্ম-পিপাসার নিবৃত্তি হইত না, গৃহেও প্রতিদিন নির্জনে ব্যাকুলতার সহিত প্রার্থনা করিতেন। প্রার্থনা যোগেই দিন, দিন তাহার প্রাণে বল ও উৎসাহ আসিতে লাগিল । এই সময় তিনি সৰ্ব্বদা আশা, উৎকণ্ঠা ও অনুরাগের সহিত এপ্রার্থনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকিতেন ; এবং যখন যে সত্য হৃদয়ে প্রকাশিত হইত, তদনুযায়ী জীবন পরিচালনের জন্য শ্রদ্ধার সহিত উহা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতেন। এইরূপে যাহা সংগৃহীত হইয়াছিল, তাহা ‘ধৰ্ম্মশিক্ষা” নাম দিয়া মুদ্রিত করিয়া বিনামূল্যে বিতরণ, এবং অবশেষে একশতখণ্ড পুস্তকসহ গ্রন্থের স্বত্ব কলিকাতা ব্ৰাহ্মাসমাজে দান করিয়াছিলেন। উক্ত পুস্তিকায় আত্মার প্রকৃতি, পরমাত্মার স্বরূপ, মানবের অধিকার, ধৰ্ম্ম, সংসার, পরকাল, প্ৰায়শ্চিত্ত, মুক্তি, . সুখদুঃখ, আত্মোন্নতি, প্রার্থনা, ঈশ্বর দর্শন, উপাসনা ইত্যাদি ধৰ্ম্ম বিষয়ক কয়েকটি সারগর্ভ উপদেশ লিপিবদ্ধ হওয়ায় এক সময়ে উহ ধৰ্ম্মশিক্ষার্থীর বিশেষ উপযোগী ও সহায় হইয়াছিল। উক্ত পুস্তিকার শেষ উপদেশটা নিয়ে উদ্ধত হইল ঃ— “পরমেশ্বরের প্রতি দৃঢ়-বিশ্বাস না হইলে প্রীতির উদয় হয় না। প্রীতি না হইলে প্রিয়-কাৰ্য্য সাধন করা যায় না । ঈশ্বরেতে যাহার বিশ্বাস নাই, তাহার হৃদয় পাষাণময়, তাহ কর্তৃক কোন পাপই অকৃত থাকে না । সে কখনই নিৰ্ম্মল ব্ৰহ্মানন্দ রসাস্বাদন করিতে সক্ষম হয়। না। শ্রমজীবী-কৃষক কি চির-শুষ্ক মরুভূমিতে সুস্বাদ ফলের প্রত্যাশা করিতে পারে ? ঈশ্বরেতে দৃঢ়-বিশ্বাস স্থাপন করিবে। তাহাকে প্রতি করিবে এবং তাঁহার প্রিয়-কাৰ্য্য সাধন করিবে। সদা সত্য কহিবে,