পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেডিকেল কলেজে প্ৰবেশ। । “මෙ কিন্তু বালকটী ঐ কথা তখনই গিয়া তাহার ‘জননীর নিকট বলিয়া আসিল, এবং তিনি সন্তানের এইরূপ জাতি-নাশকর কাৰ্য্যে মৰ্ম্মাহত হইয়া, উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। জননীর তৎকালের সেই করুণ-দৃপ্ত ও আর্তনাদ তাহার কােমল-প্রাণে সহ্য হইল না, তিনি পুনরায় উপবীত গ্রহণে বাধ্যু হইলেন। শান্তিপুরের অদ্বৈত বংশীয় একজন গোস্বামী সন্তানের পক্ষে উপবীত ত্যাগ ঐ সময়ে কিরূপ ভয়ানক কঠিন কাৰ্য্য বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল, অৰ্দ্ধশতাব্দী পরবর্তী কালে তাহার ধারণা করা আমাদের পক্ষে কঠিন। কিন্তু মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণের জীবনী আলোচনা করিয়া আমাদের এই ধারণা জন্মিয়াছে যে, ধৰ্ম্মার্থে কোন কঠিন কাৰ্য্যই তঁাহার ठ्J छ्ब् िन् । চতুর্থ পরিচ্ছেদ। মেডিকেল কলেজে প্ৰবেশ, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষা-গ্ৰহণ, উপবীত ত্যাগ, সঙ্গীতসভায় যোগদান, হিন্দুসমাজকর্তৃক বৰ্জন। পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে, বিবেকের প্রদর্শিত পথের অনুবৰ্ত্তী হওয়াতে মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণের গুরু-ব্যবসাযে বিন্ন উপস্থিত হয় । এখন তিনি ভবিষ্যতের উপজীবিকার সংস্থান আশায় সংস্কৃত কলেজের পড়া ছাড়িয়া মেডিকেল কলেজের বাঙ্গল বিভাগে ভক্তি হইলেন। তঁহার অন্তঃকরণ যেরূপ কারুণ্য-পূর্ণ ছিল তাহাতে বােধ হয় যে, উপজীবিকার চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে পর-সেবার ইচ্ছা বলবতী হইয় তাহাকে মেডিকেল