পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । কলেজের শিক্ষায় প্ৰবৃত্ত হইতে উৎসাহিত করিয়াছিল। তিনি কাব্যের নিম্ন শ্রেণী হইতে সংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ করায় তথা হইতে কোন উপাধি প্ৰাপ্ত হইলেন না ; অথবা সাধু হইবেন বলিয়াই জগতের জননী তাহাকে অপর কোন উপাধি-ভূষণে ভূষিত হইতে ८िब्ान् न् ।। * * মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে এবং ব্ৰাহ্মসমাজ্যের প্রধান আচাৰ্য্য মহাষি দেবেন্দ্ৰনাথের সঙ্গে তাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা জন্মে। ইতিমধ্যে একদিন শুনিতে পাইলেন, আত্মার উন্নতির জন্য দীক্ষা গ্ৰহণ করা একান্ত প্রয়োজন। ইহা শুনিয়া তিনি দীক্ষার জন্য ব্যগ্র হইলেন । যে উপায় অবলম্বন করিলে আত্মার উন্নতি হইতে পারে, কঠিন পরীক্ষাপূর্ণ হইলেও তদুপায় অবলম্বন করিতে"র্তাহাকে কখনও বিমুখ হইতে দেখা যায় নাই। এ জন্য যদিও ঐ সময় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্ৰহণ করা সহজসাধ্য ছিল না, তবুও তিনি দীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিয়াই বন্ধুবর অঘোরনাথের সঙ্গে একত্রে গিয়া মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের DBBDBD DDBDBS KBD BBBBDSSDDDgDAB DBBDBDSS ‘জাতিভেদ স্বীকার না করিয়া উপবীত ধারণ কুসংস্কার’ এই বিশ্বাসে তিনি ইতিপূৰ্ব্বে একবার শান্তিপুরের গৃহে উপবীত ত্যাগ করিয়াছিলেন ; কিন্তু তজজন্য জননীর প্রাণে অত্যন্ত ক্লেশ হওয়াতে পুনরায় উহা গ্রহণে বাধ্য হন । তদবধি তাহার মনে শান্তি ছিল না । তিনি লিখিয়াছেন ঃ-“উপবীত ত্যাগ না করাতে আমার মনে অত্যন্ত। অশান্তি হইতে লাগিল । এমন কি প্রতিদিন প্রার্থনার সময় হৃদয় কম্পিত হইতে লাগিল। লোকে বলে, “পৈতা কি গায়ে কামড়ায় ?” বাস্তবিক ইহা কাল-ভুজঙ্গের ন্যায় প্রতিদিন আমাকে দংশন করিতে লাগিল। উপবীত রাখা অসত্য ব্যবহার, অসত্য ব্যবহার করিলে ঈশ্বর দর্শন হইবে না, এই ভয়ে আমার প্রাণ অস্থির হইত?”