পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবীত ত্যাগ । মনের উদ্বেগ অসহনীয় হওয়াতে তিনি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের নিকট উপবীত ধারণ ও মৎস্য মাংসাহার উচিত কি অনুচিত q 可可乙东 জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি উত্তর করিলেন ;—“উপবীত রাখা নিতান্ত •কৰ্ত্তব্য, উপবীত না রাখিলে সমাজের অনিষ্ট হয়। এই দেখ আমি উপবীত রাখিয়াছি। মৎস্তু মাংস না খাইলে শরীর রক্ষা হয় না..... ইত্যাদি ।” * এই সময় মহৰ্ষি উপবীত ধারণের পক্ষপাতী ছিলেন। বলা বাহুল্য যজ্ঞসূত্র র্যাহার নিকট গললম্বিত ভুজঙ্গের ন্যায় বোধ । হইতেছিল, মহৰ্ষির ঐ রূপ উত্তর কখনও তঁাহার মনোমত হয় নাই , . ইতিমধ্যে কলিকাতা মেডিকেল কলেজের পূর্ববঙ্গবাসী কতিপয় ছাত্রের সম্মিলনে হিতসঞ্চারিণী সভা নামে একটী সভার প্রতিষ্ঠা হয়। গোস্বামী মহাশয় উক্ত সভার একজন সভ্য ছিলেন। ঐ সভাতে একদিন আলোচনা হয় যে, যাহা সত্য বুঝিব তাহ প্রতিপালন না। করা মহাপাপ ও কপটতা । এইরূপ আলোচনার দিবসই তিনি কপটতার চিহ্ন মনে করিয়া উপবীত দুরে নিক্ষেপ করিলেন ( ১২৬৯ বঙ্গাব্দ ১৭৮৪ শক) ; এবং পত্র লিখিয়া এই অতিপ্ৰায়ে গৃহে মাকে এবং অন্যান্য আত্মীয়কে সে সংবাদ জানাইলেন যে, “যেন তাহারা কি ভাবে তাহাকে গ্ৰহণ করিবেন পূর্বেই তাহার জন্য প্রস্তুত থাকেন।” জননীর ক্লেশ নিবারণের জন্য পরিত্যক্ত উপবীত পুনগ্ৰহণ অবধি তাহার মনে যে অশান্তি জন্মি- , "য়াছিল, এখন পুনরায় তাহা বিদূরিত হইল। কিন্তু তৎসঙ্গে কলিকাতার ছাত্রদের বাসায় বাসায় তর্কের ধূম পড়িয়া গেল। ‘প্ৰসিদ্ধ ব্ৰাহ্ম দেবেন্দ্ৰ বাবু উপবীত ত্যাগ করেন নাই, অতএব তোমার পক্ষে উপবীত ত্যাগ করা উচিত নয়? এইরূপ যুক্তির অবতারণা করিয়া তাহার পরিচিত অপরিচিত আত্মীয় বন্ধু সকলেই উপদেশ দিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। অযাচিত