পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবীত ত্যাগ ॥৮ যদিও তিনি সর্বদা এইরূপ অগ্রগামী ছিলেন, এবং এজন্য। অনেকের সঙ্গে তাহার মতভেদ ঘটিয়াছিল, কিন্তু এই মতভেদ তাহার, আন্তরিক সদ্ভাব নষ্ট করে নাই। মতভেদ সত্ত্বেও মহন্তাবের প্রতি তাহার একান্ত শ্ৰদ্ধা ছিল। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে একমত হইত্ত্বে না পারিলেও তৎপ্রতি তঁাহার কোন প্রকার বিরুদ্ধ-ভাব জন্মে নাই, চিরদিন ভক্তি অক্ষুধ রহিয়াছিল । ইহা তাহারা অকপট শ্রদ্ধাবিত্তারই ञिाप्न*न्म । গোস্বামী মহাশয় মেডিকেল কলেজের বঙ্গীয় বিভাগে তিন বৎসর অধ্যয়ন করেন। “স্বাভাবিক সুতীক্ষু বুদ্ধি বশতঃ শিক্ষক প্রমুখাৎ শ্রাতবিষয় কখনও তঁহাকে পরিশ্রম করিয়া আয়ত্ত করিতে হইত না ; একবার যাহা শ্ৰবণ করিতেন তাহ অন্য ছাত্ৰগণের নিকট আনুপূৰ্ব্বিক বৰ্ণনা করিয়া আয়ত্ত করিয়া লইতেন । বঙ্গীয় বিভাগে যে কয়েক বৎসর অধ্যয়ন করিতে হয়, তাহা তিনি অধ্যয়ন করিয়াছিলেন” * । তঁহার সংস্কৃত কলেজের সহাধ্যায়ী পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়া ছেন—“তিনি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন কালেই ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে যুক্ত হইয়াছিলেন। ঐ সময় তিনি তিনু চাটুয্যের বাড়ী থাকিতেন। এক দিন একজন আসিয়া বলিলেন, ‘ওরে বিজয় গোসাই নাকি ব্ৰহ্মজ্ঞানী হ’য়েছে চল তাকে দেখতে যাই।” আমরা কয়েক বন্ধুতে মিলিয়া । তঁহাকে দেখিতে গিয়াছিলাম। সন্ধ্যা হইলে বিদ্রপকারী বন্ধুগণের সকলেই ফিরিয়া আসিলেন। কিন্তু আমি তথায় রহিলাম। বিজয় বাবু আমার পরম বন্ধু, তিনি আমাকে আগ্ৰহ করিয়া রাখিলেন । অবশেষে আমরা দুইবন্ধুতে যখন আহার করিতে বসিলাম, তখন ভোজন-পাত্ৰ দেখিয়া আমি একেবারে অবাক হইলাম। উহা আর কিছুই নয়,-

  • * ধৰ্ম্মতত্ত্ব (১৮২১, ইলা আষাঢ় )। ।