পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । মোট সাকুক। আমি বলিলাম, ‘ও বিজয় এ কি ? এ যে মেটে সানুক।” তিনি বলিলেন, “যাও যাও, কাসাতে আর মাটিতে প্ৰভেদ কি ?” ইহার পর একজন ঝিকে ভাত নিয়া আসিতে দেখিয়া আমি চমকিয়া, উঠিলাম। বলিলাম, "এ কি ? বামনের জাত মারুলে ?” তিনি বলিলেন.' “ও কি ? জাত টাত আবার কি ? ও সব কিছু নয়। এখনও তোমার কুসংস্কার গেল না ?’ যাহা হউক আহারাদি৷ ত কোনরূপে শেষ হইল ; কিন্তু সমুদয় রাত্রি আমার বুক গুরু গুরু করিতে লাগিল। ভাল ঘুম হইল না।” এই সময় যদিও শাস্ত্রী মহাশয়ের ন্যায় গোস্বামী মহাশয়ের আরও কতিপয় বন্ধু নিয়মিতরূপে ব্ৰাহ্মসমাজের উপাসনায় গমন করিতেন, কিন্তু তাহারা সংস্কারের পথে ততোধিক অগ্রসর হন নাই। গোস্বামী মহাশয়ের মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নের শেষবর্ষে কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বঙ্গীয় বিভাগের ছাত্ৰগণের যে ঘোরতর বিবাদ হয় তাহার মধ্যে তিনি নেতৃস্থানীয় থাকায়, অধ্যয়নের ব্যাঘাত ঘটে। কলেজের কোন অন্যায় আচরণে গোস্বামী মহাশয় ছাত্র-বন্ধুগণ সহ একযোগে কলেজ ত্যাগ করেন ৷ ‘ ইহাতে অনেকে তঁাহার দলস্থ হইয়াছিল। আর যাহারা অবশিষ্ট ছিল, তিনি গোলদীঘিতে বক্তৃতা , করিয়া তাহাদিগকেও দলভুক্ত করিয়া লইয়াছিলেন । এই বিবাদে গোস্বামী মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সাহায্য-প্ৰাৰ্থ হন । তিনি ছোটলাট বিডন মহোদয়কে সমস্ত ঘটনা জানাইলে ছাত্ৰগণ নিৰ্দোষ' প্ৰতিপন্ন হয় ; এবং কর্তৃপক্ষ শান্তভাব অবলম্বন করিয়া ছাত্রগণকে পুনরায় কলেজে গ্ৰহণ করেন। গোস্বামী মহাশয় ইতিপূর্বেই ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিলেন, এখন হইতে বিশেষ ভাবে ব্ৰাহ্মসমাজের কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিলেন । - মেডিকেল কলেজের গোলযোগে বৃত্তি কাটটি যাওয়ায় অনেক