পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেডিকেল কলেজ ত্যাগ। বৃত্তি-প্ৰাপ্ত ছাত্র বিপদ গ্ৰস্ত হইয়াছিল। দয়ারসাগর বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজ তহবিল হইতে তাহাদিগঙ্গক অর্থ সাহায্য করিয়াছিলেন। মেডিকেল কলেজের গোলযোগ হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহার ন্যায়ানুরাগ, "তেজস্বিতা, স্বাধীনচিত্ততা ও ধৰ্ম্মভাবে আকৃষ্ট হন ও ইহার প্রতি উচ্চভাব পোষণ করিতে আরম্ভ করেন। আমরা শুনিয়াছি, এই সময় ছোটলাট মহোদয় কলেজের অভাব দূরীকরণোদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এক রিপোর্ট প্ৰদান করিতে অনুরোধ করিলে বিদ্যাসাগর মহাশয় গোস্বামী মহাশয়ের উপর এই কাৰ্য্যভার অর্পণ করেন । গোস্বামী মহাশয় অনেকগুলি সংশোধন ও নুতন ব্যবস্থার প্রস্তাব করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অৰ্পণ করিলে, তৎপর বিদ্যাসাগর মহাশয় তদনুসারে রিপোর্ট করেন, এবং কলেজের অনেক উন্নতি হয়, ও বাঙ্গালী বিভাগ স্বতন্ত্র হইয়া ক্যাম্বেল বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ' ' এক দিন গোস্বামী মহাশয়ের মুখে ভগবৎ প্রসঙ্গ শুনিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চক্ষু অশ্রুতে আদ্ৰ হইয়াছিল। গোস্বামী মহাশয় তাহার তদবস্থা দেখিয়া বলিলেন, “তবে কেন লোকে আপনাকে নাস্তিক বলে ?” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন, “আমাকে লোকে কি হেতু নাস্তিক বলে ?” গোসাইজী বলিলেন, “বলে লোকটী একেবারে নাস্তিক, একখানা বই লিখেছে তা’তে ঈশ্বর বিষয়ক কোন কথা নাই ।” 'বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন, “ইহার পরের সংস্করণে ঈশ্বরের কথা থাকিবে।” ইহা হইতে বোধোদয়ে পরবত্তী সংস্করণে ঈশ্বর বিষয়ক একটী পাঠ সন্নিবিষ্ট হইয়াছিল। এই বৎসর গোস্বামী মহাশয় মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন । মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করিবার পর উক্ত কলেজের অধ্যাপক ডাক্তার তামিজ খাঁ তাহাকে বলিয়াছিলেন—“গোসাই, ভগবান তোমার প্রতি