পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । সন্তুষ্ট, তাই তুমি রক্ষা পাইয়াছ ; তুমি কলেজ ত্যাগ করিয়া বড় ভাল করিয়াছ। নতুবা তোমাকে ঘোর-বিপদে পড়িতে হইত। কেন না তুমি গোলযোগের নেতা ছিলো।” মেডিকেল কলেজের গোলযোগের মূল কারণ অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ন্যায়ের পক্ষ সমর্থনা।” বস্তুতঃ তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করিয়া কখনও স্থির থাকিতে পারিতেন না। অন্যের পক্ষে সামান্য জ্ঞানে যাহা তুচ্ছ করা সম্ভবপর হইত,তুহার নিকট তাহাই অত্যন্ত আপত্তিকর বিবেচিত হইত। ডাক্তার তামিজ খ্যার উক্তি হইতে অবগত হওয়া যাইতেছে, তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করিয়া অত্যন্ত বিপন্ন হইয়াছিলেন ; কিন্তু তাহাতে র্তাহাকে ভীত করিতে পারে নাই। ইহার পর ব্ৰাহ্মসমাজের কাৰ্য্যে অধিকতর অগ্রসর হইয়া ক্ৰষে, তাহার মনে এমন ধৰ্ম্মোৎসাহ জন্মে যে, নর-নারীর পাপ-তাপ ও ভ্ৰম-কুসংস্কার দর্শনে তিনি ক্লেশে অভিভূত হইয়া অনেক সময় অশ্র-পাত করিতেন। ফলতঃ সস্তানের জন্য মাতার স্তন-দুগ্ধ যেমন আপনা আপনি উছলিয়া পড়ে, পাপীর জন্য র্তাহার। দয়া তেমনই উছলিয়া পড়িত। এজন্য “পথে দণ্ডায়মান হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে।” তাহার ইচ্ছা হইল । তিনি প্রচার কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইলেন । এই সময় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের কোন প্রচারক ছিলেন না, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের ভাব ও কাহারও মনে আসে নাই । ‘অপারে যে কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হয় নাই, আমি তাহাতে কিরূপে প্রবৃত্ত হইব’ তাহার মনে এ প্রশ্নের উদয় হইল না । জগতের নর-নারীর উদ্দেশ্যে যে উদার প্ৰেম তাহার হৃদয়ে নিহিত ছিল, তাহাই তাঁহাকে পবিত্ৰ ধৰ্ম্ম-প্রচার কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত করিল। তিনি অপরাহে প্রেসিডেন্সি কলেজের সম্মুখে রাস্তার পার্শ্বে দণ্ডায়মান হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সরল---সত্য, “একমাত্ৰ ঈশ্বরে বিশ্বাস, পরকালে