পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । বিশ্বাস, বাহ্য-পূজা পরিত্যাগ করিয়া আধ্যাত্মিক পূজায় বিশ্বাস, নরনারী পরস্পর পরস্পরের ভ্রাতা ভগিনী, জাতিভেদ ভগবানের বিধি বিরুদ্ধ’-ইত্যাদি বাক্য কাগজে লিখিয়া প্রচার” করিতে আরম্ভ •করিলেন। যদিও বক্তৃতার কোনরূপ আয়োজন ছিল না, বিজ্ঞাপন দিয়া লোকদিগকে আহবান করা হয় নাই, তবুও শ্রোতার অভাব হইল না। র্তাহার ভক্তিভাবে-পূর্ণ আড়ম্বর-হীন ও প্রাণস্পর্শী বক্তৃতা চারি পাঁচ শত লোক মন্ত্ৰ-মুগ্ধ হইয়া দাড়াইয়া দাড়াইয়া শুনিতে লাগিল। ভগবৎ-প্রেরণা মানুষের পরিচালক হইলে ভূখন তাহার কথা বস্তুতঃ এমনই প্রাণ-স্পৰ্শী হয়। গোস্বামী মহাশয়ের প্রচারোৎসাহের মূলে এই ভগবৎ-প্রেরণা বলবতী হইয়া তীহাকে প্রচার কার্য্যে প্রাণের সমগ্ৰ-শক্তি ও শরীরের সমস্ত রক্তবিন্দু ব্যয় করিতে সমর্থ করিয়াছিল। আদি ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে যুক্ত থাকিতেই তিনি একদিন সঙ্গত সড়ার বার্ষিক অধিবেশনে গমন করেন। তথায় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান নামক একখণ্ড ক্ষুদ্র-পুস্তিকা তাহার হস্তগত হয়। উক্ত পুস্তিকার একস্থলে লিখ্রিস্তু ছিল যে উপনয়নের সময় উপবীত গ্ৰহণ করিবে না।” ¢झे स्त्रश्नें ܗܸܕ করিয়া তিনি বুঝিতে পারিলেন, উপবীত গ্ৰহণ না করা সঙ্গীতসভার মত। উক্ত বিবরণ পাঠে সঙ্গতসভাকে তঁাহার , “স্বীয় মতের একমাত্র অনুকুল-স্থল মনে হইল, এবং এই ভাবদ্বারা চালিত হইয়া তিনি সঙ্গীতসভার প্রতি আকৃষ্ট হইলেন । ইহার পর তিনি পূর্ববঙ্গবাসী জনৈক বন্ধুর সহিত মিলিত হইয়া সঙ্গতসভায় গমন করেন ; এবং তাহার সভ্যশ্রেণী ভুক্ত হন। ইতিপূৰ্বে ব্ৰাহ্মসমাজের তৎকালীন নবীনভাব ও উদ্দীপনার প্ৰবৰ্ত্তক আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের সঙ্গে তঁাহার পরিচয় ছিল না। সঙ্গত-সভাতেই সেই প্ৰিয়-দর্শন, অব্যর্থ-ব্যাক