পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী নিয়াসনের যোগ্য মনে করিয়া সৰ্ব্বদা শিক্ষার্থীর ন্যায় ব্যবহার করিতেন। 郸 সঙ্গীতের আলোচনায় নবীন উৎসাহশীল যুবকগণের কিরূপ উন্নতি সাধিত হইয়াছিল, তাহা আমরা ব্ৰাহ্মসমাজের ধৰ্ম্মশীল প্রচারকগণের জীবন আলোচনা করিলে কতকটা অনুমান করিতে পারি। গোস্বামী মহাশয় ‘ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান’ নামক যে ক্ষুদ্র পুস্তক পাঠ করিয়া সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট এবং অনুরক্ত হন, উক্ত পুস্তক পাঠ করিলে সঙ্গীতের আলোচনার প্রকৃতি বুঝিতে পারা যায়। উক্ত পুস্তকে উপাসনা, আত্ম পরীক্ষা, আমোদ, নির্ভর, সত্য-বাক্য, পৌত্তলিকতা, পবিত্ৰতা, কৰ্ত্তব্য শ্রেণী, লোক-ভয়, ত্যাগ-স্বীকার, প্রভৃতি ব্যবহারিক, নৈতিক ও পারমাথিক সম্বন্ধীয় ২১টী বিষয়ের উল্লেখ আছে। “যে কৰ্ম্ম উচিত বলিয়া বোধ হইবে তৎক্ষণাৎ তাহার অনুষ্ঠান করিতে চেষ্টা করিবে, সকল আকর্ষণ। অতিক্রম করিবে, সকল ত্যাগ স্বীকার করিবে, কোন যন্ত্রণাকে যন্ত্রণ। বোধ করিবে না,” “যে ব্যক্তি এক প্রকার হইয়া আপনাকে অন্য প্রকার দেখায় সেই আত্মাপহারী চৌর কর্তৃক কি পাপ না কৃত হয়,” “কেবল বাহা পৌত্তলিকতা যে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম নিষেধ করিতেছেন এমত নহে, ইহা পরিত্যাগ করা ত সহজ, আধ্যাত্মিক পৌত্তলিকতা অতীব ভয়ানক । বিষয়-সুখাভিলাষ, মানাকাঙ্ক্ষা, কাম-ক্ৰোধ-লোভ-দ্বেষ-ঈর্ষা প্রভৃতি মানসিক প্ৰবৃত্তি সকলের শরণাগত অনুগত দাস হইয়া তাহ-' দের সেবা ও উপাসনা করাকে আধ্যাত্মিক পৌত্তলিকতা বলে,” “স্বার্থপরতা হইতে মুক্ত হওয়াই সংসার হইতে মুক্ত হওয়া,” ইত্যাদি বহু সারগর্ভ উপদেশ। উক্ত পুস্তকে নিবদ্ধ হইয়াছে। এই প্রকারের আলোচনায় ধৰ্ম্মানুরাগী গোস্বামী মহাশয়ের বিশেষ হিতসাধন হইয়াছিল । ”