পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - হিন্দুসমাজ কর্তৃক বৰ্জন। উপরোক্ত ঘটনার পর তাহার জননীর ক্রুন্দন অনেক পরিমাণ প্রশমিত হইল, কিন্তু তদীয় জ্যেষ্ঠ ব্ৰজগোপাল গোস্বামী মহাশয় হিন্দুসমাজ কর্তৃক উত্তেজিত হইয়া একটী প্ৰকাশ্য সভা করিয়া ভঁহাকে পরিত্যাগ করিলেন । অন্যান্য যুবকেরা এই উপবীত-ত্যাগী যুবকের দৃষ্টান্তে ব্ৰাহ্ম হইয়া যাইতে পারে, এই আশঙ্কায় শান্তিপুরের গোস্বামীগণ র্তাহার জ্যেষ্ঠকে ডাকাইয়া বলিয়া দিলেন—“ইহাকে কেবল বাড়ী। হইতে নয়, শীঘ্ৰ গ্ৰাম হইতে डएट कक्ष} [७ ।” ५aभन्न कि সকলেই তাহাকে সত্বর গ্ৰাম ছাড়িতে পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন । তাহার আগমনে তথায় এমন এক তুমুল আন্দোলন আরম্ভ হইয়াছিল, এবং দেশময় লোক তুর্তাহার উপর এমন খড়গ-হস্ত হইয়াছিল যে রাস্তায় বাহির হইলে, কেহ গালি দিতে, কেহ প্ৰস্তর-ধূলি নিক্ষেপ করিতে, কেহ বা পাগল মনে করিয়া গায়ে থুথু দিতে লাগিল । ཅ་ ༣ ། তথায় র্যাহারা ব্ৰাহ্ম বলিয়া পরিচিত ছিলেন, তাহারাও তঁহার কাৰ্য্যের অনুমোদন করিলেন না। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে তৎকালে ব্ৰাহ্মগণ জাতিভেদ স্বীকার না করুিয়াও অনায়সে জাতিভেদের চিহ্ন উপবীত ধারণ করিতেন ; এমন কি কেহ কেহ উপবীত ধারণ না করা অন্যায় মনে করিতেন । সুতরাং উপবীত-ত্যাগী বলিয়া যে তঁহাদেরও নিকট ইনি উপহাসাম্পদ হইবেন, ইহা কিছু বিচিত্র নহে। এইরূপে ব্ৰাহ্ম ও প্রাচীন ধৰ্ম্মাবলম্বী—সকলেরই নিন্দা, তিরস্কার, গালি, অত্যাচার তাহার মস্তকে বৰ্ষিত হইতে লাগিল। কিন্তু তিনি আশ্চৰ্য্য সহিষ্ণুতার সহিত সকল অত্যাচার, লাঞ্ছনা, উৎপীড়ন সহা করিক্তে লাগিলেন । এইরূপ ঘোর নির্যাতনের মধ্যেও এই বিশ্বাস। তঁহার মনের শান্তি রক্ষা করিয়াছিল যে, “সত্য অামার দিকেই আছে, আমি সত্য হইতে ভ্ৰষ্ট হই নাই। আর এই সত্য জয়যুক্ত হইবেই।” তিনি 8